ব্যক্তিগত ১০ রানে থাকতে ডেভিড ওয়ার্নারের ক্যাচ ছাড়েন উসামা মির
ব্যক্তিগত ১০ রানে থাকতে ডেভিড ওয়ার্নারের ক্যাচ ছাড়েন উসামা মির

সহজ ক্যাচ ফেলা উসামা মিরের পাশেই আছে পাকিস্তানের ড্রেসিংরুম

ফিল্ডিংয়ে পাকিস্তানের দুর্বলতা অনেকেরই জানা। বিশ্বকাপেও পাকিস্তানি ফিল্ডারদের দুহাত গলে অনেক বল বেরিয়েছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রসিকতাও কম হচ্ছে না। মোহাম্মদ রিজওয়ান সে কারণেই বোধ হয় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দলের উন্নতির জায়গা চিহ্নিত করতে গিয়ে ফিল্ডিংকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন।

কিন্তু ফিল্ডিংয়ে পাকিস্তানের আর উন্নতি হলো কোথায়? উল্টো অবনতিই হয়েছে। আগের তিন ম্যাচে তবু একটি করে ক্যাচ ছেড়েছিলেন ইমাম উল হক ও ইফতিখার আহমেদ। বেঙ্গালুরুতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দলটির ফিল্ডাররা কাল ক্যাচ ফেলেছেন তিনটি। দুটি উসামা মির ও একটি অধিনায়ক অধিনায়ক বাবর আজম। তবে মিরের প্রথম ক্যাচ মিসই সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে পাকিস্তানের।

ইনিংসের পঞ্চম ওভারে ব্যক্তিগত ১০ রানে থাকতে ‘জীবন’ পান ডেভিড ওয়ার্নার। পরে থামেন ১২৪ বলের ১৬৩ রানের ইনিংস উপহার দিয়ে। তাতে অস্ট্রেলিয়াও রান–পাহাড়ে চড়ে। মিরের ওই ক্যাচ ফেলার খেসারত পাকিস্তানকে দিতে হয় ম্যাচ হেরে।

পাকিস্তানের বিপক্ষে শতকের পর ওয়ার্নারের উচ্ছ্বাস। গতকাল বেঙ্গালুরুতে

অথচ পাকিস্তান দলের সেরা ফিল্ডার হিসেবে বিবেচিত শাদাব খানকে বসিয়ে একাদশে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল মিরকে। কিন্তু বিশ্বকাপে নিজের প্রথম সুযোগটা কাজে লাগাতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন মির। দুটি ক্যাচ তো ফসকেছেনই; মূল কাজ বোলিংও ভালো করেননি। ৯ ওভারে ১ উইকেটে নিতে ৮২ রান খরচ করেছেন এই লেগ স্পিনার। ব্যাটিংয়ে ৩ বল খেলেও কোনো রান করতে পারেননি।

সব বিভাগেই ব্যর্থ মিরের ওপর স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটাররা। তবে দলটির বোলিং কোচ মরনে মরকেল মিরের পাশে দাঁড়িয়েছেন। মরকেল বলেছেন, ‘সে একটি ক্যাচ ফেলেছে। যে কেউ যেকোনো দিন ক্যাচ ফসকাতে পারে। এটা খেলারই অংশ। সৌভাগ্যবশত দলের পরিবেশ খুব ভালো। ড্রেসিংরুমের সবাই উসামার (মির) পাশেই থাকবে, সমর্থন করবে।’

কালকের ম্যাচ ভুলগুলো মির শিগগিরই শুধরে নেবেন বলে আশা মরকেলের, ‘এটা ওর জন্য শেখার বড় সুযোগ। আমাদের উচিত কঠিন সময়ে ওকে সমর্থন করা। আমি নিশ্চিত সে ঘুরে দাঁড়াবে।’

ফিল্ডিং–বোলিংয়ের পর ব্যাটিংয়েও ব্যর্থ উসামা মির

ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টি মিলিয়ে ৭টি বিশ্বকাপ খেলেছেন মরকেল। বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চের ওজন কত বেশি, ভালো করেই জানা দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক এই ফাস্ট বোলারের। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই বলেছেন, ‘এটা বড় মঞ্চ। কিন্তু ব্যবধান অনেক ছোট এবং মাঝেমধ্যে নিষ্ঠুর লাগে। একজন তরুণ ও মানসম্পন্ন খেলোয়াড়ের জন্য ভারতের মতো জায়গায় বিশ্বকাপ খেলতে পারা দারুণ এক অভিজ্ঞতা।’

গতকাল অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে পয়েন্ট তালিকার পাঁচে নেমে গেছে পাকিস্তান। সোমবার নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে বাবরের দল।