ইংল্যান্ডকে ধবলধোলাইয়ের আনন্দ বাংলাদেশের। আজ মিরপুরে
ইংল্যান্ডকে ধবলধোলাইয়ের আনন্দ বাংলাদেশের। আজ মিরপুরে

টি–টোয়েন্টিতে এর আগে যাদের ধবলধোলাই করেছে বাংলাদেশ

এক ম্যাচ বাকি থাকতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি–টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নিয়েছিল বাংলাদেশ। আগের দুই ম্যাচে সাকিব আল হাসানের দল যে রকম দাপট দেখিয়েছে, তাতে সমর্থকদের মনে বিশ্বাস জন্মেছিল আরেকটি ‘বাংলাওয়াশ’ সময়ের ব্যাপার।

দিন বদলের বার্তা নিয়ে আসা দলটা সেই আনুষ্ঠানিকতাও সারল। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আজ শেষ টি–টোয়েন্টিতে ইংলিশদের হারিয়ে দিল ১৬ রানে। দুর্দান্ত ডেথ বোলিংয়ের আরেক দফা প্রদর্শনীতে জস বাটলার–মঈন আলীরা ৩–০ ব্যবধানে হারের তিক্ত স্বাদ পেলেন।

পুরস্কার বিতরণীতে বাটলারকে ডেকে নেওয়ার আগেই ধারাভাষ্যকার শামীম চৌধুরীর মুখে শোনা গেল ‘বাংলাওয়াশ’ কথাটা। টি–টোয়েন্টিতে এ নিয়ে চারবার প্রতিপক্ষকে একাধিক ম্যাচের সিরিজে ধবলধোলাই করল বাংলাদেশ। তিন সংস্করণ মিলিয়ে ২৩ বার। শুরুটা হয়েছিল ২০০৬ সালে কেনিয়াকে দিয়ে, সর্বশেষ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড এর শিকার।

২০১২ সালে আয়ারল্যান্ডকে টি–টোয়েন্টি সিরিজে ৩–০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করেছে বাংলাদেশ

ঘরে কিংবা বাইরে—ওয়ানডেতে বরাবরই সমীহ–জাগানিয়া দল বাংলাদেশ। স্বাভাবিকভাবে এই সংস্করণেই সর্বোচ্চ ১৬ বার প্রতিপক্ষকে ধবলধোলাইয়ের তিক্ত স্বাদ দিয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। অপেক্ষাকৃত দুর্বল দুই সংস্করণ টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে বাংলাদেশের এই অভিজ্ঞতা হলো ৭ বার। টেস্টে ৩ আর টি–টোয়েন্টিতে ৪ বার। ২৩ ধবলধোলাইয়ের মধ্যে ১৬টি দেশে, ৭টি প্রতিপক্ষের মাঠে।

টি–টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের অভিষেক হয়েছে ২০০৬ সালে। তবে প্রতিপক্ষকে ধবলধোলাই করতে অপেক্ষা করতে হয়েছে আরও ৬ বছর। মজার ব্যাপার হলো, সংক্ষিপ্ত সংস্করণে বাংলাদেশ চার প্রতিপক্ষকে ধবলধোলাই করেছে চার অধিনায়কের নেতৃত্বে।

২০১২ সালে আয়ারল্যান্ডকে তাদেরই মাটিতে ৩–০ ব্যবধানে হারিয়েছিল মুশফিক রহিমের নেতৃত্বাধীন দল। নিজেদের টি–টোয়েন্টি ইতিহাসে তিন ম্যাচের সিরিজে এত দিন সেটাই ছিল ধবলধোলাইয়ের একমাত্র ঘটনা। এবার আইরিশদের প্রতিবেশী ইংল্যান্ড এর শিকার হলো সাকিবের অধিনায়কত্বে।

মাঝে আরও দুবার প্রতিপক্ষকে বিব্রতকর অভিজ্ঞতার সামনে ফেলেছে বাংলাদেশ—২০২০ সালে জিম্বাবুয়ে ও ২০২২ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত। দুটি সিরিজই জিতেছিল ২–০ ব্যবধানে। ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দলকে নেতৃত্ব দেন মাহমুদউল্লাহ। আর গত বছর অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে আরব আমিরাতে নুরুল হাসানকে অধিনায়ক বানিয়ে দল পাঠিয়েছিল বিসিবি।

নুরুল হাসানের নেতৃত্বে আরব আমিরাতকে ধবলধোলাই করেছে বাংলাদেশ

আয়ারল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে, আরব আমিরাত—কোনো দলই ক্রিকেটীয় পরাশক্তি নয়। বিশ্বকাপেও অনিয়মিত তারা। তবে গত নভেম্বরে টি–টোয়েন্টিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার তরতাজা স্মৃতি নিয়ে প্রথমবার খেলতে নেমেই একরকম অসহায় আত্মসমর্পণ করল ইংল্যান্ড।

টি–টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের চার ধবলধোলাইয়ের মধুর স্মৃতির কথা বললে কোনটি সবার ওপরে থাকবে, সেটা বোধ হয় না লিখলেও চলছে।