আইসিসি ওয়ানডে টুর্নামেন্ট

১১ ম্যাচে ৪, রাচিন রবীন্দ্র এখানে সেঞ্চুরি করতেই আসেন

২০২৩ সালে বিশ্বকাপে প্রথম খেলতে নেমেই সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন রাচিন রবীন্দ্র। দেড় বছর পর নিউজিল্যান্ড ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরি পেলেন চ্যাম্পিয়নস ট্রফি অভিষেকেও। কাল রাওয়ালপিন্ডিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে পাওয়া সেঞ্চুরিটি রেকর্ড বইয়েও জায়গা করে দিয়েছে রাচিন রবীন্দ্রকে।

আইসিসির ওয়ানডে ইভেন্টে (বিশ্বকাপ ও চ্যাম্পিয়নস ট্রফি) এটি ছিল রাচিনের চতুর্থ সেঞ্চুরি। আইসিসি ইভেন্টে যা নিউজিল্যান্ডের কোনো ব্যাটসম্যানের সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ড।

২০২৩ বিশ্বকাপে তিনটি সেঞ্চুরি করা রাচিন পেছনে ফেলেছেন নাথান অ্যাস্টল ও কেইন উইলিয়ামসনকে। অ্যাস্টল ১৯৯৬ বিশ্বকাপ থেকে ২০০৬ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত ৩৫ ম্যাচ খেলে করেন ৩ সেঞ্চুরি। অন্যদিকে উইলিয়ামসনও ২০১১ বিশ্বকাপ থেকে এ পর্যন্ত আইসিসির ওয়ানডে টুর্নামেন্টে ৩৫ ম্যাচ খেলে করেছেন ৩টি সেঞ্চুরি। এই রেকর্ড ১১ ম্যাচ খেলেই ভেঙে ফেললেন রাচিন।

২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরির পর রাচিন রবীন্দ্র। বিশ্বকাপে সেটিই ছিল রাচিনের প্রখম ম্যাচ
এএফপি

নিউজিল্যান্ডের হয়ে রেকর্ড গড়লেও সব দেশ মিলিয়ে বিশ্বকাপ ও চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে রাচিনের চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি আছে আরও ১২ জনের। তাঁদের মধ্যে আট সেঞ্চুরি নিয়ে সবার ওপরে ভারতের রোহিত শর্মা। আট সেঞ্চুরির পাঁচটিই রোহিত করেন ২০১৯ বিশ্বকাপে। যা এক বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ড।

বিশ্বকাপ ও চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির তালিকায় ভারতীয়দেরই আধিপত্য। শীর্ষ ১২-এর পাঁচজনই ভারতের। রোহিত তো শীর্ষে আছেনই, সাত সেঞ্চুরি নিয়ে পরের দুজনও ভারতীয়—শচীন টেন্ডুলকার ও সৌরভ গাঙ্গুলী। তৃতীয় সর্বোচ্চ ছয়টি সেঞ্চুরি যে পাঁচজনের, তাঁদের মধ্যেও ভারতীয় দুজন—শিখর ধাওয়ান ও বিরাট কোহলি।

বিশ্বকাপ ও চ্যাম্পিয়নস ট্রফি মিলিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি মাহমুদউল্লাহর—৪টি। তিন সেঞ্চুরি নিয়ে দুইয়ে সাকিব আল হাসান। আরও কারও একাধিক সেঞ্চুরি নেই।