ছন্দে নেই লিটন দাস। বাংলাদেশ দলের এই ডানহাতি ওপেনার এতটাই ছন্দ হারিয়েছেন যে জিম্বাবুয়ে সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচ খেলার পর একাদশ থেকেই বাদ পড়েছেন। অথচ গত বছরে ইংল্যান্ড-আয়ারল্যান্ড সিরিজ, এরপর আফগানিস্তান, নিউজিল্যান্ড সিরিজে দলের মূল ব্যাটসম্যানদের একজন ছিলেন লিটন। পারফর্মও করেছেন।
তবে এখন সেই লিটনের জন্য একাদশে জায়গা পাওয়াটাই প্রধান চ্যালেঞ্জ। ক্রিকেটারদের জীবনে এমন খারাপ সময় আসতে পারে, তবে এই সময় কাটিয়ে ওঠা জরুরি। এই দুঃসময় কাটানোর জন্য লিটন কী করেন? বিসিবি প্রকাশিত এক ভিডিওতে নিজের খারাপ সময় নিয়ে কথা বলেছেন লিটন।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে লিটনের খারাপ সময়ের শুরুটা গত মার্চের শ্রীলঙ্কা সিরিজ দিয়ে। সেই সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ৩৬ রান করা লিটন প্রথম ও শেষ ম্যাচে করেন ০ ও ৭। এরপর ব্যর্থ হন জিম্বাবুয়ে সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচে। এই সময়ে লিটন পাশে পাচ্ছেন তাঁর স্ত্রীকে। আর নিজের এই খারাপ সময়টাকে নিয়ে খুব বেশি ভাবতে চান না বাংলাদেশ দলের ওপেনার, ‘খারাপ সময়ে আসলে খুব বেশি চিন্তাভাবনার কিছু থাকে না। আপনি খারাপ সময়ে থাকলে যত বেশি ভাববেন, তত আপনার জন্য খারাপ। আপনার কাছে একটা অপশনই থাকে, আপনি কতটুকু পরিশ্রম করছেন অনুশীলনে, অনুশীলন কতটা গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছেন।’
এই সময়টাতে লিটনকে সাহস দেন তাঁর স্ত্রী, ‘অনেক মানুষই আছে, যারা কি না সব সময় অনুপ্রেরণা দেয়। অনেক কোচই আছে, যাদের সঙ্গে আমার কথা হয়। এই সময়ে সাহস দেওয়াটা অনেক বড় জিনিস। সবচেয়ে কাছের মানুষ হচ্ছে আমার স্ত্রী, ও সব সময় আমাকে সাহস দেয়। এর থেকে আর বড় কিছু লাগে না।’
সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ২৭ বলে ৬০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন লিটন। যদিও সেই ম্যাচটা বাংলাদেশ হেরে যায় ৫ রানে। সেই আফসোস এখনো আছে লিটনের। সঙ্গে বিশ্বকাপে নিজের পারফরম্যান্সে অসন্তুষ্টির কথাও বলেছেন এই ব্যাটসম্যান,‘ যেটা আশা করেছিলাম, ২০২১ বিশ্বকাপে সেটা করতে পারিনি। ২০২২ বিশ্বকাপে ভিন্ন কন্ডিশনে ছিলাম, হয়তো বড় কোনো দলের সঙ্গে জিততে পারিনি, তবে খারাপও হয়নি। নিজের কথা যদি বলি, আশানুরূপ পারফর্ম করতে পারিনি। আমি যে মানের খেলোয়াড়, যেমন পারফরম্যান্স আমার করা উচিত, আমি সেটা করতে পারিনি। এবার ভালো কিছু করার চেষ্টা করব।’
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত চারটি বিশ্বকাপ খেলেছেন লিটন। সেই বিশ্বকাপ পারফরম্যান্স নিয়ে লিটন বলেছেন, ‘চারটি বিশ্বকাপের কথা যদি বলি,তাহলে ২০১৯ বিশ্বকাপটা আমার জন্য স্মরণীয়। কারণ, ওই ইনিংসটাতে (ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৬৯ বলে ৯৪*) বাংলাদেশ দল জিতেছিল। ২০২২ বিশ্বকাপটা আরও স্মরণীয় হতো, যদি ভারতের সঙ্গে যে ইনিংসটা খেলেছি, সেই সেটাতে ম্যাচ জিততে পারতাম।’