ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে টসে হেরে ব্যাটিংয়ের শুরুটা ভালোই করেছিল পাকিস্তান। ৭৩ রানে দুই ওপেনার আবদুল্লাহ শফিক এবং ইমাম–উল–হক ফিরে যাওয়ার পর দলকে ভালোভাবেই টেনে নিচ্ছিলেন অধিনায়ক বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। কিন্তু ২৯.৪ ওভারে দলীয় ১৫৫ রানে মোহাম্মদ সিরাজের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান বাবর।
অধিনায়কের বিদায়ের পরই মূলত তাসের ঘরের মতো ধসে পড়ে পাকিস্তানের ইনিংস।
৩৬ রানের মধ্যে শেষ ৮ উইকেট হারায় পাকিস্তান। সেদিন পাকিস্তানের ইনিংসে একমাত্র ফিফটিটা বাবরের ব্যাট থেকে এলেও তাঁর ব্যাটিং পছন্দ হয়নি সাবেক ভারতীয় ওপেনার গৌতম গম্ভীরের। বিশ্বমানের ব্যাটসম্যান বাবরের কাছ থেকে এমন শট খেলে আউট হয়ে যাওয়া অপ্রত্যাশিত বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
সেদিন আহমেদাবাদে সিরাজের ক্রস সিমের লেংথ বলে থার্ডম্যানে অতি-আত্মবিশ্বাসী হয়ে খেলতে গিয়ে নিজের বিপদ ডেকে আনেন বাবর। যেভাবে চেয়েছিলেন, বল ততটা ওঠেনি। ব্যাটের ফেস অনেকটা বন্ধ করে খেলার চেষ্টা ব্যর্থ হয় তাঁর, ৫০ রানেই হন বোল্ড।
বাবরের এমন শট খেলে আউট হওয়া নিয়ে গম্ভীর বলেছেন, ‘এটা খুবই বাজে একটি শট। বিশ্বমানের একজন ব্যাটসম্যানের কাছ থেকে এমন শট আপনি আশা করতে পারেন না। আপনি ৫০ রান করেছেন এবং প্রায় ৬০টি বল খেলেও ফেলেছেন। আপনি জানতেন যে বল খুব বেশি বাউন্স হচ্ছে না। এটা তেমন লেংথ ছিল না, যেখানে আপনি লেট কাট খেলতে পারেন।’
শুধু বাবরের শটের সমালোচনা করেই থামেননি গম্ভীর, ব্যাটিংয়ের ধরনে বাবরকে ভিতুও মনে হয়েছে তাঁর, ‘বাবর আজম খুবই ভিতু ছিল। একটি জুটিতে দুজন ব্যাটসম্যান একই ধরনের ব্যাটিং করতে পারেন না। দুজনের মধ্যে যেকোনো একজনের ঝুঁকি নিতে হবে। যখন আপনি নিজের ফিফটি বা নিজের রানের জন্য খেলবেন, এমন ফলই পাবেন।’
বাবরসহ শুরুর তিন ব্যাটসম্যানের আক্রমণাত্মক না হওয়ার সমালোচনা করে গম্ভীর বলেছেন, ‘বাবর আজম নিজের জন্য অনেক রান করেছে, কিন্তু পাকিস্তানের ইতিহাস বলছে, তারা শুরুতে আগ্রাসী ব্যাটিং করে। সেটা শহীদ আফ্রিদি, ইমরান নাজির কিংবা তৌফিক ওমর, যে–ই হোক। তারা মাঝের ওভারগুলোতে ইনিংস দৃঢ় করে। আর এখানে শুরুর তিন ব্যাটসম্যানের কেউই প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করে না।’
ভারত ম্যাচের পর বাবরের ব্যাটিংয়ে হতাশ হলেও বিশ্বকাপ শুরুর আগে তাঁর বেশ প্রশংসা করেছিলেন গম্ভীর। বলেছিলেন, বিশ্বকাপে বাবর আগুন লাগিয়ে দিতে পারেন। যদিও তাঁর ব্যাটিংয়ে তেমন কিছু এখনো দেখা যায়নি। সামনের ম্যাচগুলোতে বাবর জ্বলে উঠতে পারেন কি না, সেটাই দেখার অপেক্ষা।