ওপেনারদের ব্যাটে দারুণ শুরু। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের একটা ব্যাটিং-ধস। বিনা উইকেটে ৭৬ রান থেকে তাদের স্কোরবোর্ড চেহারা বদলে হয়ে যায় ৫ উইকেটে ১১৫ রান। সেখান থেকে জেসন হোল্ডার ও জশুয়া দা সিলভার ১০৯ রানের জুটি।
ওপেনারদের ভালো শুরু আর হোল্ডার-দা সিলভার শতরানের জুটির পরও এজবাস্টন টেস্টের প্রথম দিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিংটা ততটা ভালো হয়নি। প্রথম ইনিংসে তারা গুটিয়ে গেছে ২৮২ রানে। এই ২৮২ রান নিয়েও শেষ বিকেলে দারুণ লড়াই করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৩৮ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়েছে ইংল্যান্ড। ২ উইকেট নিয়েছেন জেইডেন সিলস।
ক্রিজে আছেন জো রুট ও ওলি পোপ। আউট হয়েছেন দুই ওপেনার জ্যাক ক্রলি-বেন ডাকেট ও নাইট ওয়াচম্যান হিসেবে তিন নম্বরে নামা মার্ক উড।
ব্যাট হাতে ভালো শুরুর পরও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ধসের কারণ ইংল্যান্ডের তিন পেসার—গাস অ্যাটকিনসন, ক্রিস ওকস ও মার্ক উড। ২৬ রান করা ওপেনার মিখাইল লুইসকে ফেরান অ্যাটকিনসন।
এরপর ইয়র্কারে কার্ক ম্যাকেঞ্জির মিডল স্টাম্প উড়িয়ে দেন উড। ৬১ রান করা ব্রাফেটও আউট হয়েছেন উডের বলে। ট্রেন্ট ব্রিজ টেস্টের মতো এজবাস্টনে উডের বলে ততটা গতি দেখা যায়নি। এরপরও তাঁর যতটা গতি ছিল, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটসম্যানদের জন্য সমস্যা তৈরির জন্য যথেষ্ট ছিল। অ্যালিক অ্যাথানেজকেও ফিরিয়েছেন অ্যাটকিনসন। ওকসের বলে আউট হয়েছেন কাভেম হজ।
সেখান থেকে দা সিলভাকে সঙ্গে নিয়ে হোল্ডার ১০৯ রানের জুটি গড়েন। সেই জুটি ভাঙে দা সিলভা ৪৯ রান করে ওকসের ফাঁদে পা দিলে। দুর্দান্ত খেলতে থাকা দা সিলভার বিপক্ষে ওকস একের পর ইনসুইং করার পর হঠাৎ করেই দেন আউটসুইং। সেই ফাঁদে পা দিয়ে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ দেন দা সিলভা।
এরপর আলজারি জোসেফকেও আউট করেন ওকস। ৪ উইকেট নিয়েছেন আটকিনসন, ওকস নিয়েছেন ৩টি। সিরিজের প্রথম দুই টেস্ট জিতে এরই মধ্যে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে জয় নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস:৭৫.১ ওভারে ২৮২( ব্রাফেট ৬১, হোল্ডার ৫৯; আটকিনসন ৪/৬৭, ওকস ৩/৬৯)
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৮ ওভারে ৩৮/৩( ক্রলি ১৮; সিলস ২/১৯)