ঘটনাটা এমন, ম্যাচ শেষে এ নিয়ে প্রশ্ন হওয়া অবধারিত। হয়েছেও তা-ই। মিরপুর টেস্টের প্রথম দিন বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’ আউট হয়েছেন মুশফিকুর রহিম। দিনের খেলা শেষে নিউজিল্যান্ড দলের প্রতিনিধি হিসেবে সংবাদ সম্মেলনে আসা মিচেল স্যান্টনারের মনে হয়েছে, ‘এটি আউট হওয়ার ভালো উপায় ছিল না।’
বাংলাদেশ দলের সদস্য মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাখ্যা ছিল এমন, ‘দেখুন, এটা তো ইচ্ছাকৃতভাবে হয়নি। খেলার ফ্লোতে হয়ে গেছে। জিনিসটা হয় কী, তিনি তো ইচ্ছেকৃতভাবে এটা করেননি। কিন্তু জেনেশুনে কেউ কখনো আউট হতে চায় না। ফ্লোতে খেলতে গিয়ে হয়ে গেছে এ রকম।’
সংবাদ সম্মেলনে মিরাজকে মুশফিকের আউট নিয়ে একাধিক প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে। প্রতিবারই তিনি তাঁর মতো ব্যাখ্যা দিয়েছেন, ‘আপনি দেখুন, খেলার পরিস্থিতিতে অনেক সময় ব্যাক অব দ্য মাইন্ডে অনেক কিছু হয়। এটা তো ফ্লোতে চলে গেছে আমার কাছে মনে হয়, মুশফিক ভাই যে আউটটা হয়েছে। ফ্লোতে মনে করেন চলে গেছে।’
মুশফিকের আউটের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার অ্যাঞ্জেল ম্যাথুসকে টাইমড আউট করার ঘটনাও সামনে নিয়ে এসেছেন মিরাজ, ‘আমরা বিশ্বকাপে একটা টাইমড আউট পেয়েছি। ওখানে কিন্তু টাইমড আউট হয়ে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যান।’
পরে আগের বলা কথাটা আরও একবার বললেন মিরাজ, ‘আজকে মুশফিক ভাই যে আউটটা হলো, এটা তো আপনি দেখেন ফ্লোতে হয়ে গেছে। আমি যখন ব্যাটিং করি, তখন একটা শট খেলার পর উইকেটে যখন বলটা আসবে, তখন কিন্তু অনেক সময় সিদ্ধান্ত নিতে হয় কী করতে হবে, না করতে হবে। মুশফিক ভাই যেটা করেছেন, এটা ফ্লোতে হয়ে গেছে। ইচ্ছাকৃতভাবে করা হয়নি। সেটা করা হলে তো ব্যাটসম্যানের জন্য কঠিন, আউট হয়ে যাবে।’
বাংলাদেশ দল যে অবস্থায় ছিল, সেদিক থেকে যেকোনো ধরনের আউটকে দুই হাত ভরে স্বাগত জানানোর কথা নিউজিল্যান্ড। শুরুতে ৪ উইকেট হারিয়েও মুশফিক ও শাহাদাত হোসেনের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশ। স্যান্টনারকে মুশফিকের আউট নিয়ে প্রশ্ন করার পর তিনি বলেছেন, ‘আউট হওয়ার জন্য ভালো উপায় ছিল না। কারণ, সে ভালো খেলছিল। ওই সময় উইকেট পড়ায় আমাদের সুবিধা হয়েছে। কারণ, দিপু (শাহাদাত হোসেন) ও মুশফিক ভালো জুটি গড়েছিল।’