সেঞ্চুরি করে উদ্‌যাপনে বড় লাফই দেন তিলক ভার্মা
সেঞ্চুরি করে উদ্‌যাপনে বড় লাফই দেন তিলক ভার্মা

টি-টোয়েন্টির নতুন বিশ্ব রেকর্ড গড়ল ভারত

রেকর্ডটা এত দিন ভারতেরই ছিল। সঙ্গে ছিল জাপান জাতীয় ক্রিকেট দল আর ইংল্যান্ডের ক্লাব বার্মিংহাম বিয়ার্স।

তবে আজ থেকে রেকর্ডটা শুধুই ভারতের। টি-টোয়েন্টিতে এক বছরে সবচেয়ে বেশি বার ২০০ বা তার বেশি রান করার বিশ্ব রেকর্ড। সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বাধীন দল রেকর্ডটা গড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে, সেঞ্চুরিয়নের সুপারস্পোর্ট পার্কে। আর রেকর্ড গড়ার ম্যাচটিতে জয়ও পেয়েছে ভারত।

চার ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে প্রথমে ব্যাট করে ভারত তোলে ৬ উইকেটে ২১৯ রান। তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস থামে ২০৮ রানে। ১১ রানের ম্যাচসেরা হয়েছেন ৫৬ বলে ১০৭ রানের ইনিংস খেলা তিলক ভার্মা।

সেঞ্চুরিয়নের ম্যাচটিতে ভারতের বিশ্ব রেকর্ড গড়ে স্কোরবোর্ডে ২০০ রান ছুঁয়েই। ২০২৪ সালে আজসহ মোট ৮ বার দুই শ রানের ঘর ছুঁয়েছে ভারত। যা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তো বটেই, স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতেও এক পঞ্জিকাবর্ষে কোনো দলের প্রথম। এক বছরে সর্বোচ্চ ৭ বার ২০০ বার তার বেশি রান করার কৃতিত্ব ভারত (২০২৩), জাপান (২০২৪) ও বার্মিংহাম বিয়ার্সের (২০২২)।

ইয়ানসেন খেলেন ১৭ বলে ৫৪ রানের ইনিংস

বিশ্ব রেকর্ড ছোঁয়ার ম্যাচটিতে ভারতের জয় এসেছে শেষ দিকে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। রান তাড়ায় নামা দক্ষিণ আফ্রিকার শেষ দুই ওভারে দরকার ছিল ৫১ রান। ম্যাচ অনেকটাই ভারতের নাগালে। ওই সময় হার্দিক পান্ডিয়ার করা ১৯তম ওভারে দুই ছক্কা ও তিন চারসহ ২৬ রান তুলে নেন মার্কো ইয়ানসেন। সমীকরণ নেমে আসে শেষ ৬ বলে ২৫ রানে।

তবে অর্শদীপ শেষ ওভারের তৃতীয় বলে ইয়ানসেনকে এলবিডব্লুতে ফিরিয়ে দিলে ভারতের জয় আটকায়নি।

এর আগে ভারতকে দুই শর বেশি রানের পুঁজি গড়ে দিয়ে যান তিলক ভার্মা ও অভিষেক ভার্মা। তিনে নামা ভার্মা ৫৬ বলে করেন ১০৭ রান, তাঁর ইনিংসটিতে ছিল ৭টি ছক্কা ও ৮টি চার। ওপেনিংয়ে অভিষেক শর্মা করেন ২৫ বলে ৫০ রান।

চার ম্যাচ সিরিজে ২–১ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে ভারত

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ভারত: ২০ ওভারে ২১৯/৬ (ভার্মা ১০৭*, অভিষেক ৫০, পান্ডিয়া ১৮; সিমেলেন ২/৩৪, মহারাজ ২/৩৬)।
দক্ষিণ আফ্রিকা: ২০ ওভারে // (ইয়ানসেন ৫৪, ক্লাসেন ৪১, মার্করাম ২৯; অর্শদীপ ৩/৩৭, বরুণ ২/৫৪)।

ফল: ভারত ১১ রানে জয়ী।