ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা—সময়ের অন্যতম সেরা বোলার। তবে সেটা সংক্ষিপ্ত সংস্করণে। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে। গতকাল আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২ উইকেট নেওয়ার পথে টি-টোয়েন্টির দ্বিতীয় দ্রুততম বোলার হিসেবে ১০০ উইকেট নিয়েছেন এই রহস্য স্পিনার।
মাত্র ৬৩ ম্যাচে টি-টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেট নেওয়া হাসারাঙ্গার টেস্ট উইকেট কতটি জানেন? মাত্র ৪টি। এই সংখ্যা বাড়ারও সুযোগ নেই। কারণ, গত বছরের আগস্টে টেস্ট থেকে অবসর নিয়েছেন তিনি। টি-টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেট নেওয়ার সময় বাংলাদেশের মোস্তাফিজুর রহমানেরও উইকেটসংখ্যা খুব বেশি ছিল না।
টি-টোয়েন্টিতে যখন মোস্তাফিজ ১০০ উইকেট নিয়েছেন, তখন মোস্তাফিজের টেস্ট উইকেট ছিল মাত্র ৩১টি। টি–টোয়েন্টিতে মোস্তাফিজের মোট উইকেট এখন ১০৫টি, টেস্টে আগের সংখ্যাটাই আছে।
টি–টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেট পাওয়ার সময় টেস্টে উইকেটসংখ্যা নিতান্তই কম—এমন বোলারদের তালিকা করলে মোস্তাফিজের চেয়ে খারাপ অবস্থা আরও দুই ক্রিকেটারের। আয়ারল্যান্ডের মার্ক অ্যাডাইর যখন টি-টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেট নিয়েছেন, তখন তাঁর টেস্ট উইকেট ছিল ১০টি।
পাকিস্তানের শাদাব খানের টি-টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেট নেওয়ার সময় টেস্ট উইকেট ছিল ১৪টি। টি-টোয়েন্টি দ্রুততম ১০০ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড রশিদ খানের। তিনি যখন ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে ১০০ উইকেট নেন, তখন তাঁর টেস্ট উইকেট ছিল ৩৫।
তবে এখানে সবার গল্পটা এক নয়। যেমন অ্যাডাইর খুব বেশি টেস্ট খেলার সুযোগই পান না। ২০১৯ সালের জুলাইয়ে টেস্ট অভিষেক হওয়া এই পেসার এখন পর্যন্ত টেস্ট খেলতে পেরেছেন মাত্র ৪টি। মোস্তাফিজ টি-টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেট নিয়েছেন গত বছরের মার্চে। এই পেসার সর্বশেষ টেস্ট খেলেছেন ২০২২ সালের জুনে। অনেক দিন ধরেই সাদা পোশাকের ক্রিকেটকে এড়িয়ে যাচ্ছেন মোস্তাফিজ। বোর্ডের সঙ্গে টেস্টের কেন্দ্রীয় চুক্তিতেও নেই এই পেসার।
শাদাব সর্বশেষ টেস্ট খেলেছেন আরও আগে ২০২০ সালে। তাঁর প্রথম পছন্দও টেস্ট ক্রিকেট নয়। দলও তাঁকে বিবেচনা করছে না। অন্যদিকে রশিদ এখন পর্যন্ত টেস্ট খেলেছেন ৫টি, সর্বশেষ ২০২১ সালের মার্চে। এমনিতেও আফগানিস্তান টেস্ট খেলার সুযোগ পায় কম, সঙ্গে চোটের কারণে আফগানিস্তানের সর্বশেষ দুটি টেস্ট সিরিজে ছিলেন না রশিদ।