সূর্যকুমার যাদবের নেওয়া ডেভিড মিলারের ক্যাচটাই কি ভারতকে ম্যাচ জিতিয়ে দিয়েছে?
কারও কারও ধারণা কিন্তু এমনই। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার জন্য শেষ ৬ বলে ১৬ রান দরকার ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। হার্দিক পান্ডিয়ার করা প্রথম বলটাকে উড়িয়ে মারেন মিলার, যা লং অফ বাউন্ডারি সীমানার কাছে দারুণভাবে লুফে নেন সূর্যকুমার। যে ক্যাচ ম্যাচের সুবাদে ম্যাচের সেরা ফিল্ডারের পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি।
বিশ্বকাপ ফাইনালের আলোচিত এই ক্যাচ নিয়ে ম্যাচ শেষে কথা বলেন সূর্য। জানান, চাপের মুহূর্তে ছয় হয়ে যেতে পারে ভাবনায় বল ওপরের দিকে ছুড়ে দিয়ে কীভাবে মাঠের বাইরে গেছেন, ক্যাচ নিশ্চিতের জন্য চোখের দৃষ্টি ও শরীরের ভারসাম্য কীভাবে রজায় রেখেছেন।
পান্ডিয়ার লো ফুল টস বেশ জোরের সঙ্গে মেরেছিলেন মিলার। দৌড়ে জায়গামতো পৌঁছে বল হাতে নিতে নিতেই সূর্যকুমার বুঝে যান, নিজেকে মাঠের ভেতরে আটকে রাখা সম্ভব নয়। বল হাতে থাকা অবস্থায় বাউন্ডারি সীমানায় পা-ও ফেলা যাবে না। ঠান্ডা মাথায় সীমানা দড়ির ইঞ্চিরও কম জায়গা আগে পা ফেলে বল ওপরের দিকে ছুড়ে মারেন তিনি। এরপর মাঠের বাইরে গিয়ে শরীরের ভারসাম্য ঠিক করে ভেতরে এসে ক্যাচ নেন।
ইন্ডিয়া টুডের সঙ্গে আলাপে ওই সময়ের বর্ণনা দিতে গিয়ে সূর্যকুমার বলেন, ‘এখন বলাটা সহজ। কিন্তু ম্যাচের ওই মুহূর্তে মনে হচ্ছিল, ট্রফিটাই বাউন্ডারি পার হয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের সময়ে যেটা হয় যে বল যাতে ছয় না হয়, সেই চেষ্টা করা। আমার যতটুকু সাধ্যে ছিল, আমি চেষ্টা করেছি।’
সূর্যকুমার জানান, মিলারের ক্যাচ নেওয়ার সময় সেখানে থাকা বাতাসও ভালো প্রভাব রেখেছে, ‘বাতাস আমার কাজ কিছুটা সহজ করে দিয়েছে। আর অনুশীলনে এ ধরনের ক্যাচ নিয়ে ফিল্ডিং কোচের সঙ্গে আমরা প্রচুর কাজও করেছি। ম্যাচের দরকারি সময়টায় মাথা ঠিক রাখাটাই গুরুত্বপূর্ণ।’
ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে নেওয়া ক্যাচের জন্য দলের পক্ষ থেকে বিশ্বকাপ ফাইনালের সেরা ফিল্ডারের পুরস্কার পেয়েছেন সূর্যকুমার। ম্যাচ শেষে তাঁর হাতে পুরস্কার তুলে দেন বিসিসিআই সচিব জয় শাহ।