উইকেটের দেখা পেলেও দিনটি সুবিধার ছিল না মোস্তাফিজুর রহমানের
উইকেটের দেখা পেলেও দিনটি সুবিধার ছিল না মোস্তাফিজুর রহমানের

ওয়াংখেড়ে যখন মোস্তাফিজের ‘অপয়া’, রোহিতের ‘অনন্য’ অভিজ্ঞতা

রোহিত শর্মা ও মোস্তাফিজুর রহমান—গতকাল রাতে ওয়াংখেড়েতে দুই রকম অভিজ্ঞতা হয়েছে দুজনের। রোহিত সেঞ্চুরি করেছেন, কিন্তু হেরেছে তাঁর দল মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। অন্যদিকে ৪ ওভারে ৫৫ রান দিলেও ঠিকই জয়ের স্বাদ পেয়েছেন চেন্নাই সুপার কিংসের বাংলাদেশি পেসার মোস্তাফিজুর রহমান।

আইপিএলে রোহিত শর্মা পেলেন দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। প্রথম সেঞ্চুরিটি এসেছিল ১২ বছর আগে, কলকাতায়। টি-টোয়েন্টিতে রোহিতের সেঞ্চুরি সব মিলিয়ে ৮টি, এর মধ্যে ৫টিই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে, যা যৌথভাবে সর্বোচ্চ।

৫০০

চেন্নাইয়ের বিপক্ষে রোহিত গতকালের ইনিংসে মেরেছেন ৫টি ছক্কা। পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ৫০০ ছক্কার রেকর্ডও হয়ে গেছে তাতে। রোহিতের আগে এ কীর্তি আছে ক্রিস গেইল (১০৫৬), কাইরন পোলার্ড (৮৬০), আন্দ্রে রাসেল (৬৭৮) ও কলিন মানরোর (৫৪৮)।

আইপিএলে এ নিয়ে ১৯ বার ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত থাকলেন রোহিত। এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ স্কোরটাও গড়লেন। তবে গতকালই একটা অভিজ্ঞতা প্রথম হয়েছে তাঁর। এর আগে যে ১৮ বার অপরাজিত থেকে ম্যাচ শেষ করেছেন, প্রতিটিতেই জিতেছে তাঁর দল। এবারই প্রথম অপরাজিত ইনিংস খেলে হারের স্বাদ পেতে হলো তাঁকে।

বৃথা গেছে রোহিতের সেঞ্চুরি

আইপিএলে মুম্বাইয়ের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে সেঞ্চুরি করেও হারের স্বাদ পেতে হলো রোহিতকে। ২০১১ সালে কোচি টাস্কার্স কেরালার বিপক্ষে ৬৬ বলে ১০০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন শচীন টেন্ডুলকার। মুম্বাইয়ের দেওয়া ১৮৩ রানের লক্ষ্য ৮ উইকেট ও ১ ওভার বাকি থাকতেই পেরিয়ে গিয়েছিল কোচি।

১/৫৫

মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের বিপক্ষে মোস্তাফিজুর রহমানের বোলিং ফিগার। চেন্নাই বোলারদের মধ্যে কাল সবচেয়ে খরুচে ছিলেন বাংলাদেশি পেসার। তাঁর ক্যারিয়ারে যৌথভাবে সবচেয়ে খরুচে বোলিং এখন এটি। মজার ব্যাপার হলো, ২০১৮ সালে এক ইনিংসে তিনি ৫৫ রান দিয়েছিলেন ওয়াংখেড়েতেই। সেবার মোস্তাফিজ খেলছিলেন মুম্বাইয়ের হয়ে, সে ম্যাচে প্রতিপক্ষ ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।

টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এ নিয়ে ষষ্ঠবার ইনিংসে ৫০ বা এর বেশি রান দিলেন মোস্তাফিজ। এর মধ্যে তিনটিই এসেছে আইপিএলে।