আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে পাকিস্তানে যাবে না ভারত। এর বদলে নিজেদের ম্যাচগুলো সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই বা শ্রীলঙ্কায় খেলতে চায় তারা। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মূল কর্তৃপক্ষ আইসিসির কাছে এমন অনুরোধই করতে যাচ্ছে ভারতের ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজনের জন্য আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি–মার্চ সময় নির্ধারণ করেছে। এরই মধ্যে তিনটি ভেন্যু চূড়ান্ত করে খসড়া সূচিও তৈরি করা হয়েছে। পিসিবি ভারতের সব ম্যাচ রেখেছে লাহোরে।
সরকারের অনুমতি না থাকার কারণে ২০০৮ সালের পর ভারতের ক্রিকেট দল পাকিস্তান সফর করেনি। এ সময় পাকিস্তানও আইসিসির কোনো টুর্নামেন্ট আয়োজন করেনি। গত বছর এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের এশিয়া কাপের আয়োজক ছিল পিসিবি। ভারত পাকিস্তানে যেতে রাজি না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত তাদের ম্যাচগুলো হয়েছিল শ্রীলঙ্কায়, যা ‘হাইব্রিড মডেল’ নামে পরিচিতি পায়।
এবার চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও একই ব্যবস্থায় খেলতে চায় ভারত। বার্তা সংস্থা এএনআইকে বিসিসিআইয়ের একটি সূত্র বলেছে, ‘ভারত চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে পাকিস্তানে যাবে না। আমরা আইসিসিকে বলব, ম্যাচগুলো যেন দুবাই বা শ্রীলঙ্কায় আয়োজন করা হয়।’ এর আগে গত ৬ মে বিসিসিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজীব শুক্লা বলেছিলেন, ভারত সরকারের সম্মতি পেলেই শুধু পাকিস্তানে যাবেন রোহিত–কোহলিরা, ‘ভারত সরকার যা বলবে, আমরা সেটাই করব। সরকারের অনুমতি পেলে দল পাঠানো হবে।’
সরকারের অনুমোদন না থাকাতেই ২০১৩ সালের পর পাকিস্তানের সঙ্গে কোনো দ্বিপক্ষীয় সিরিজে খেলেনি ভারত। এ সময় দুই দল মুখোমুখি হয়েছে শুধু আইসিসি ও এসিসির টুর্নামেন্টে। পিসিবি অবশ্য ভারত ক্রিকেট দল তাদের দেশে যাবে ধরে নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ভেন্যু হিসেবে লাহোর, রাওয়ালপিন্ডি ও করাচি চূড়ান্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে নিরাপত্তার বিষয় মাথায় রেখে ভারতের সব ম্যাচ রাখা হয়েছে লাহোরের গাদ্দাফী স্টেডিয়ামে, এমনকি রোহিত–কোহলিরা সেমিফাইনালে উঠলে সেটিও হবে সেখানেই।
খসড়া সূচি অনুযায়ী, আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ৯ মার্চ পর্যন্ত চলবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। আট দলের এ টুর্নামেন্টে ‘এ’ গ্রুপে আছে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। আর ‘বি’ গ্রুপে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফগানিস্তান।