ভারতের বিপক্ষে ৭ উইকেটে হারের পর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও ৬২ রানের হার। বিশ্বকাপে টানা দুই ম্যাচ হেরে বেশ চাপেই আছে পাকিস্তান। এমন হতশ্রী পারফরম্যান্সের কারণে দেশটির সাবেক ক্রিকেটাররাও মেতেছেন সমালোচনায়। সাবেক গতি তারকা শোয়েব আখতার তো পাকিস্তানের সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন।
সাবেক অধিনায়ক রমিজ রাজা বলেছেন, পরের ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে আফগানিস্তানই ফেবারিট হিসেবে খেলতে নামবে। সেই একই ধারাবাহিকতায় সমালোচনা করেছেন সাবেক ওপেনার আমির সোহেলও। তিনি বলেছেন, পাকিস্তানের কাজ হচ্ছে যে দল ফর্মে নেই, তাদের ফর্মে ফেরানো। এ সময় খেলোয়াড়দের পাশাপাশি টিম ম্যানেজমেন্টের সমালোচনাও করেছেন আমির।
নেদারল্যান্ডস ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের পর টানা দুই হার হজম হচ্ছে না আমিরের। পাকিস্তান দলের সমালোচনায় এক টেলিভিশন টক শোতে তিনি বলেছেন, ‘এই হার হজম হচ্ছে না। এর পেছনে কিছু কারণ আছে। আমাদের একটা সংস্কৃতি হচ্ছে, আমরা যেসব দল ফর্মে থাকে না, তাদের ফর্মে নিয়ে আসি। আজও আমরা তা–ই করেছি। আমরা সবাইকে ফর্মে নিয়ে আসব।’
এ সময় হারিস রউফের বোলিং নিয়ে তির্যক মন্তব্য করেন আমির। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৮ ওভারে ৩ উইকেট নিলেও ৮৩ দিয়েছেন হারিস। যেখানে প্রথম ৪ ওভারেই তিনি দেন ৫৯ রান। তাঁকে নিয়ে আমির বলেছেন, ‘অনেকবার বলেছি হারিস রউফের কথা। শুধু গতিই সবকিছু নয়। আউট করার জন্য ব্যাটসম্যানকে সেট করতে হয়। সব বল গতিময় হতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। আর সে উইকেট নিয়েছে কিন্তু ধীরগতির বলে। এই ধরনের বলেই কিন্তু সে ব্যাটসম্যানদের সমস্যায় ফেলেছে।
আমাদের দেশে একটা সময় ছিল, যখন গতিকেই সবকিছু ধরা হতো। কিন্তু সেটা ভিন্ন সময় ছিল। সেটা এমন সময় ছিল, যখন বল রিভার্স সুইং হতো। আর এখন যতই গতি হোক, ব্যাটসম্যান চড়াও হবে, যদি বল এলোমেলোভাবে করা হয়।’
তবে দলের এমন দুরবস্থার জন্য খেলোয়াড়দের চেয়ে ম্যানেজমেন্টকেই বেশি দুষছেন আমির, ‘খেলোয়াড়দের আমি এখনো কিছু বলতে চাই না। তাদের কোনো দিকনির্দেশনাই দেওয়া হয়নি। ওরা তৈরিই হয়নি।’ পাশাপাশি টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্তও ভুল ছিল বলে মনে করেন আমির, ‘আমরা আগেই বলেছিলাম, টস জিতে আগে ব্যাট করো। এই দল (অস্ট্রেলিয়া) দুবার রান তাড়া করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছে।’