আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের রেকর্ড টানা ৬১টি ম্যাচ খেলার পর বাদ পড়েছিলেন আফিফ
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের রেকর্ড টানা ৬১টি ম্যাচ খেলার পর বাদ পড়েছিলেন আফিফ

‘পারফরম্যান্সের কারণেই বাদ আফিফ, চেহারার জন্য নয়’

পারফরম্যান্সের কারণেই বাদ পড়েছেন আফিফ হোসেন, চেহারার কারণে নয়—এমন বলেছেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা হারিয়েছেন এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে একাদশ থেকে বাদ পড়েছিলেন আফিফ। ২০১৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে এ বছরের ১২ মার্চ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের রেকর্ড টানা ৬১টি ম্যাচ খেলার পর বাদ পড়েছিলেন তিনি।

এরপর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম দুই ওয়ানডের দলে থাকলেও খেলার সুযোগ পাননি। শেষ ম্যাচের আগে তো দল থেকেই ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে। এরপর টি-টোয়েন্টি দলেও জায়গা হয়নি আফিফের।

আফিফকে কেন বাদ দেওয়া হয়েছে এমন এক প্রশ্নের জবাবে আজ সংবাদ সম্মেলনে হাথুরুসিংহে বললেন, ‘অবশ্যই (পারফরম্যান্সের কারণেই দল থেকে বাদ পড়েছে)’, চেহারার কারণে তো নয়। এরপর যোগ করলেন, ‘যে কেউ পারফরম্যান্সের কারণেই বাদ পড়ে। যদি কৌশলগত দিক দিয়ে ভিন্ন কিছু করতে চান, সেটিও একটা কারণ হতে পারে।’

টপঅর্ডারে ব্যাটিং পছন্দ আফিফ হোসেনের

গত বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ার আগপর্যন্ত ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে আফিফ খেলেছেন ১৩টি ম্যাচ, ১৫.৭২ গড়ে করেছেন ১৭৩ রান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আফিফ সর্বশেষ ফিফটির দেখা পেয়েছিলেন গত বছরের সেপ্টেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে। অবশ্য এ ১৩ ম্যাচের ৭টিতেই আফিফ খেলেছেন ৭ নম্বরে।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টিতে বাদ পড়ার পর অবশ্য জানা গিয়েছিল, কোচের সঙ্গে নাকি নিজের ব্যাটিং পজিশন নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছিলেন আফিফ। হাথুরুসিংহেকে তিনি নাকি বোঝাতে চেষ্টা করেছিলেন, ব্যাটিং অর্ডারের ওপরে খেলা ম্যাচগুলোতে তাঁর রেকর্ড খারাপ নয়। কোচও নাকি তাতে দ্বিমত প্রকাশ করেননি। তারপরও আফিফকে আরেকটু ধৈর্য ধরার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আফিফ সর্বশেষ ফিফটির দেখা পেয়েছিলেন গত বছরের সেপ্টেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে

সে ধৈর্য ধরার সুযোগ অবশ্য আফিফ পাননি। আপাতত ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করা ছাড়া উপায় নেই তাঁর, হাথুরুসিংহেও মনে করিয়ে দিয়েছেন সেটি, ‘অন্য যে কাউকে যা করতে হয়, সেটিই করতে হবে—রান করা। কোন কোন জায়গায় উন্নতি করতে হবে, সে ব্যাপারে তার সঙ্গে কথা বলেছি আমি। যদি সেটি করতে পারে, নির্বাচনের জন্য বিবেচ্য হয়, তাহলে দলের অন্য সবার মতোই বিচার করা হবে তাকে।’

আয়ারল্যান্ড সিরিজের আগেই অবশ্য ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আবাহনীর হয়ে একটি ফিফটি করেছিলেন আফিফ। জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পর মোহামেডানের বিপক্ষে খেলেছেন ৪৯ রানের ইনিংস। সর্বশেষ গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে অবশ্য ব্যাটিংয়ের সুযোগই পাননি।