এবারের আইপিএলে যেন ভিন্ন কিছু করবেন বলেই পণ করেছেন রিংকু সিং। আইপিএলের এটি ১৬তম আসর। এই সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে খেলেননি, এমন তারকা কমই আছেন। কিন্তু সেই সব বড় বড় তারকার ক্ষেত্রে যেটা ঘটেনি, সেটাই ঘটেছে রিংকুর বেলায়।
না, টানা পাঁচ বলে ছক্কা মারার কথা বলা হচ্ছে না। গতকাল পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে শেষ বলে ৪ মেরে দলকে জিতিয়ে আইপিএলের একটি পরিসংখ্যানে একমাত্র খেলোয়াড় হয়ে গেছেন রিংকু।
আইপিএলে রিংকুই একমাত্র ক্রিকেটার, যিনি এক আসরে দুবার ম্যাচের শেষ বলে রান করে দলকে জিতিয়েছেন। যার প্রথমটি গত এপ্রিলে গুজরাটের বিপক্ষে। সেই ম্যাচে জয়ের জন্য শেষ ৫ বলে ২৮ রান দরকার ছিল কলকাতার। শেষ বলে ৪ রান। বাঁহাতি পেসার যশ দয়ালের ওভারের আগের চার বলে ছক্কা মারা রিংকু শেষ বলেও ছক্কা মারেন। রানতাড়ায় শেষ ৫ বলে ৫ ছক্কা স্বীকৃত ক্রিকেটে সেবারই প্রথম দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব।
গতকাল পাঞ্জাবের বিপক্ষে শেষ ওভারে কলকাতার কাজটা অবশ্য এত কঠিন ছিল না। জয়ের জন্য ২০তম ওভারে ৬ রান লাগত। সমীকরণটা সহজ হলেও অর্শদীপ সিংয়ের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ম্যাচ গড়ায় শেষ বল পর্যন্ত। শেষ বলে কলকাতার দরকার ছিল ২ রান। ফাইন লেগ ও ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগের মাঝখান দিয়ে চার মেরে দেন রিংকু। তাতেই আইপিএলে এমন একটা আনন্দে ভাসেন রিংকু, যা আগে কেউ পাননি।
এবারের আইপিএলে নিজেকে নতুন করে চেনাচ্ছেন রিংকু। ১১ ম্যাচে ৫৬.১৭ গড় ও ১৫১.১২ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন ৩৩৭, যা কলকাতার হয়ে সর্বোচ্চ। শুধু তো রানসংখ্যা নয়, সেসব রানও করেছেন ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে। সেটিও বেশির ভাগ সময় ৬ নম্বরে ব্যাটিং করে।
যে কারণে ইডেন গার্ডেনের দর্শকের কাছে মর্যাদা পাচ্ছেন নায়কের। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক নীতিশ রানাও বললেন সেটাই, ‘আগে গ্যালারিতে সবাই রাসেল–রাসেল (আন্দ্রে রাসেল) আওয়াজ তুলত। এখন তুলছে রিংকু–রিংকু বলে। এটা সে আদায় করে নিয়েছে।’