শাহিন আফ্রিদি আছেন, মোহাম্মদ আমিরও আছেন—পাকিস্তানের এমন বোলিং আক্রমণ দেখার অপেক্ষায় ছিলেন অনেক সমর্থকই। আজ পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেই একসঙ্গে দেখা মিলেছে তাদের। ফলাফল—দুই বাঁহাতি পেসারের সামনে রীতিমতো হাঁসফাঁস করেছে কিউইদের অপেক্ষাকৃত দুর্বল ব্যাটিং লাইনআপ।
শাহিন ৩.১ ওভারে ১৩ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট, আমির ৩ ওভারে ১৩ রানে ২ উইকেট। পাকিস্তানের দুই বাঁহাতির জ্বলে ওঠার দিনে নিউজিল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৮.১ ওভারে ৯০ রানেই গুটিয়ে গেছে, যা তাড়া করতে নেমে পাকিস্তান ম্যাচ জিতে নিয়েছে ৪৭ বল আর ৭ উইকেট হাতে রেখে।
রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ম্যাচটিতে রান তাড়ায় পাকিস্তানের নায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান। ডানহাতি এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান তিন নম্বরে নেমে অপরাজিত থাকেন ৩৪ বলে ৪৫ রানে। প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যাট করতে নামা ইরফান খান অপরাজিত থাকেন ১৮ বলে ১৮ রানে।
পাকিস্তানের জয়ের পথ প্রশস্ত করে দিয়ে যান আসলে বোলাররাই। টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নামা নিউজিল্যান্ড তৃতীয় ওভারে হারায় টিম সাইফার্টকে, ফেরান শাহিন আফ্রিদি। এরপরের ওভারে বল হাতে নেন আমির। সাড়ে তিন বছরের বেশি সময় পর এই সিরিজ দিয়েই জাতীয় দলে ফেরা এই পেসার নিজের দ্বিতীয় বলেই কাভারে ইফতিখারের ক্যাচ বানিয়ে আউট করেন টিম রবিনসনকে। আমির অবশ্য এখানেই থামেননি।
নিজের পরের ওভারে এসে ফেরান ডিন ফক্সক্রফটকে। নিউজিল্যান্ড ৩৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর ম্যাচে আর নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেনি। দুই স্পিনার আবরার আহমেদ আর শাদাব খানও উইকেটশিকারির উৎসবে যোগ দিলে ৭৯ রানে অষ্টম উইকেট হারায় কিউইরা। শেষ দিকে নাসিম শাহ ও শাহিন দুই উইকেট তুলে নিয়ে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস এক শর আগেই থামিয়ে দেন।
নিউজিল্যান্ড: ১৮.১ ওভারে ৯০ (সাইফার্ট ১২, রবিনসন ৪, ফক্সক্রফট ১৩, চ্যাপম্যান ১৯, নিশাম ১, ম্যাকনকি ১৫, ব্রেসওয়েল ৪, সোধি ৮, ডাফি ৮, সিয়ার্স ৩, লিস্টার ১; শাহিন ৩.১-০-১৩-৩, নাসিম ৪-০-২৭-১, আমির ৩-০-১৩-২, আবরার ৪-০-১৫-২, ইফতিখার ১-০-৭-০, শাদাব ৩-০-১৫-২)।
পাকিস্তান: ১২.১ ওভারে ৯২/৪ (আইয়ুব ৪, বাবর ১৪, রিজওয়ান ৪৫*, উসমান ৭, ইরফান ১৮*; লিস্টার ২-০-১০-১, ডাফি ২-০-৭-০, সিয়ার্স ৩-০-৩০-০, ব্রেসওয়েল ২-০-১৯-১, সোধি ৩০-০-১৮-১, ম্যাকনকি ০.১-০-৪-০)।
ফল: পাকিস্তান ৭ উইকেটে জয়ী।