বৃহস্পতিবার হঠাৎ করেই নজরে আসে ব্যাপারটি। দুবাইয়ে আইসিসির হিসাব বিভাগ অবাক বিস্ময়ে লক্ষ করে, তাদের হিসাবে ২৫ কোটি টাকার গড়মিল। বিস্ময়ের ঘোর কাটিয়ে দেখা গেল, অনলাইন প্রতারণার শিকার হয়েছে খোদ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা।
অনলাইনে ব্যক্তিগত পর্য়ায়ে প্রতারণার ফাঁদে পড়ার ব্যাপারটি পুরোনো। প্রতিষ্ঠানও প্রতারণার ফাঁদে পড়ে থাকে। কিন্তু আইসিসির মতো এত বড় একটি সংস্থা অনলাইনে প্রতারণার শিকার হবে—এটা অবাক করার মতোই। খবরটা দিয়েছে ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ। আইসিসি যদিও এ ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটে আছে।
ক্রিকবাজ এ ব্যাপারে আইসিসির হিসাব বিভাগের কর্তাদের কোনো মন্তব্য নিতে পারেনি। ওয়েবসাইটটি অবশ্য জানিয়েছে, এ ব্যাপারে আইসিসি এরই মধ্যে তদন্তও শুরু করে দিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি সূত্র আইসিসির অর্থ বিভাগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি করে ২৫ কোটি টাকা সরিয়ে নিয়েছে।
আইসিসি কর্তারা যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গেও কথাবার্তা শুরু করেছে। বেশ কয়েক দফায়, কয়েক দিন ধরে এই ২৫ কোটি টাকা সরানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্রিকবাজ। আইসিসির প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন।
২৫ কোটি টাকা যথেষ্ট বড় অঙ্কই। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া কিংবা ইংলিশ ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের মতো বড় ও ধনী সংস্থার কাছে এই অঙ্ক বড় কিছু না হলেও আইসিসির কয়েকটি পূর্ণ সদস্য দেশের জন্য এটি অনেক বড় অঙ্ক।
নেদারল্যান্ডস, নামিবিয়ার মতো সহযোগী সদস্যরা এক বছরে আইসিসির কাছ থেকে এ পরিমাণ অর্থ পেয়ে থাকে।