টেস্ট স্কোয়াডে ডাক পেয়েছেন জাকের আলী
টেস্ট স্কোয়াডে ডাক পেয়েছেন জাকের আলী

টি–টোয়েন্টির মারদাঙ্গা জাকের লাল বলে কেমন

সুখবরটা আসবে, এমন আভাস আগেই পেয়েছিলেন জাকের আলী। অপেক্ষা ছিল আনুষ্ঠানিকতার। আজ ভারত সফরের টেস্ট দল ঘোষণার মধ্য দিয়ে সেটাও পেয়ে গেলেন। টেস্টে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা জাকেরকে রেখেই ভারতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বিসিবি। টেস্ট দলে ডাক পাওয়ার আগে জাকের টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে ১৭টি ম্যাচ খেলেছেন। ছিলেন সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলেও।

জাকেরের পরিচিতিও টি-টোয়েন্টির মারদাঙ্গা ব্যাটিং দিয়ে। বিপিএলের সর্বশেষ আসরে ১৪ ম্যাচের ১০ ইনিংসে ব্যাট করে ১৪১ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ১৯৯ রান। রানগুলো এসেছে ফিনিশারের ভূমিকায়। ধারাবাহিকভাবে ইনিংসের শেষের দিকে রান করার পুরস্কার হিসেবে গত মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ডাক পেয়েছেন জাকের। ঘরের মাঠ সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অভিষেকেই মাত্র ৩৪ বলে ৬৮ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলে প্রমাণ করেছেন সেটির যৌক্তিকতা।

ফিনিশারের ভূমিকায় বেশ কার্যকর জাকের। টেস্টে কেমন করেন সেটাই দেখার অপেক্ষা

তবে জাকের মানেই শুধু টি-টোয়েন্টির ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিং নয়। কয়েক বছর ধরে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বাংলাদেশের সবচেয়ে ধারাবাহিক ব্যাটসম্যানদের একজন তিনি। একটা পর্যায়ে মনে হচ্ছিল, জাকের জাতীয় দলে সুযোগ পেলে সেটা হবে টেস্ট দিয়েই। ২০২০ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৫০টি ইনিংসে তাঁর রান ২০০৬, গড় ৪০.১২। সর্বশেষ প্রথম শ্রেণির ম্যাচটি ছিল গত মাসে পাকিস্তানে পাকিস্তান শাহিনসের বিপক্ষে, ইসলামাবাদের সে ম্যাচে ২৮৬ বলে ১৭২ রানের ইনিংস খেলেছিলেন জাকের। যাতে ছিল ১৭টি চার ও ৫টি ছক্কা। সব মিলিয়ে তিনি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন ৪৯টি, ৮১ ইনিংসে ৪ সেঞ্চুরিতে ৪১.৪৭ গড়ে রান করেছেন ২৮৬২।

রেকর্ডই বলে, টি-টোয়েন্টির সঙ্গে দীর্ঘ সংস্করণের ক্রিকেটটাই জাকেরের পছন্দ। এর পেছনে জাকেরের একটি যুক্তিও আছে। গত বিপিএলের সময় জাকেরই প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘লঙ্গার ভার্সন ভালো খেলা, সঙ্গে টি-টোয়েন্টিও, এটা সহজ কাজ নয়। এই জিনিসটা আমি উপভোগ করি। আমার ভাবতে ভালো লাগে যে আমি সব ফরম্যাটে ভালো করছি। লঙ্গার ভার্সনের স্লো খেলা থেকে টি-টোয়েন্টিতে কুইক খেলা, এটা আসলে বোঝানো যাবে না যে কত ভালো লাগা কাজ করে।’

দীর্ঘ সংস্করণের ক্রিকেট পছন্দ জাকেরের

জাকের পরে যোগ করেন, ‘এই দুই ফরম্যাট আমার খুবই পছন্দ। ফোর ডে আর টি-টোয়েন্টি। কারণ, টেস্টে আপনার মাইন্ড একদম ক্লিয়ার, আমি বল ছাড়ব। টি-টোয়েন্টিতেও ক্লিয়ার মাইন্ড, আমি মারব। ব্যাটিংয়ে যাওয়ার আগেও আমি কোচের সঙ্গে কথা বলি, জিজ্ঞাসা করি যেন আমাকে ক্লিয়ার প্ল্যান দেওয়া হয়।’

সেই ‘ক্লিয়ার প্ল্যানে’ খেলেই জাকের এখন টি-টোয়েন্টির পর টেস্ট দলেও।