সকাল আর বিকেলের চিত্র পুরো ভিন্ন। বলা হচ্ছে চেন্নাইয়ে বাংলাদেশ-ভারত প্রথম টেস্টের প্রথম দিনের খেলার কথা। টস জিতে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল ফিল্ডিং নেওয়ার পর দ্রুতই তাঁর মুখে হাসি ফোটান বোলাররা। ১০ ওভারের মধ্যে ভারতের ৩ উইকেট ফেলে দেয় বাংলাদেশ। ১৪৪ রানে তারা হারায় ৬ উইকেট। দিনের পরের অংশটা ভারতের। সপ্তম উইকেটে রবীন্দ্র জাদেজা ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ১৯৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ভর করে ৬ উইকেটে ৩৩৯ রান নিয়ে দিনের খেলা শেষ করেছে ভারত।
সকাল ও বিকেলের এই ভিন্ন চিত্র কেন—এটা দিনের খেলা শেষে ব্যাখ্যা করেছেন রোহিত শর্মা, শুবমান গিল ও বিরাট কোহলির উইকেট নিয়ে ভারতকে ৩ উইকেটে ৩৪ রান বানিয়ে ফেলা বাংলাদেশের পেসার হাসান মাহমুদ।
হাসান এ বিষয়ে প্রথমে বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, সকালের দিকে উইকেটে কিছু সিম মুভমেন্ট ছিল। পরে ধীরে ধীরে উইকেট সেটেল হয়ে গেছে। বল ভালোভাবে ব্যাটে এসেছে। তবু শেষ দিকে আমি কিছু মুভমেন্ট পেয়েছি। আশা করি, কালকে (আজ) আমরা সুযোগ তৈরি করতে পারব।’
হাসান এরপর দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশের বোলারদের করণীয় নিয়ে কথা বলেন। সেখানে ফুটে উঠেছে বাংলাদেশের দ্বিতীয় দিনের রণকৌশলও, ‘সকালের দিকে আমরা দাপট দেখাচ্ছিলাম। উইকেট এখন খুব ভালো হয়ে গেছে। বোলাররা চেষ্টা করছে কীভাবে বাউন্ডারি না দিয়ে বোলিং করা যায়। একটা সময় মোমেন্টাম ছিল আমাদের দিকে। এখন ওই দিকে চলে গেছে। এটাই ক্রিকেট। যেকোনো কিছু হতে পারে এখন। কালকে (আজ) সকালে আবার আমাদের দিকে ফিরে আসতে পারে। আমাদের চেষ্টা থাকবে আমরা যেন রান চেক দিয়ে বোলিং করতে পারি।’
হাসান এরপর যোগ করেন, ‘আমার মনে হয়, আরেকটু বাউন্ডারি কম খাওয়ার মতো বোলিং করা দরকার ছিল। আরেকটু গুছিয়ে বোলিং করতে পারলে রান আরেকটু কম হতো। তবে চেষ্টা করছি, যেন আরেকটু গুছিয়ে বোলিং করা যায়। কালকে (আজ) যদি আমরা চেষ্টা করি, যদি দ্রুত উইকেট নিতে পারি, তাহলে ম্যাচে ফিরে আসব।’
ভারতের দুই ব্যাটসম্যান অশ্বিন ও জাদেজা যখন উইকেটে থিতু হয়ে যান, তখন বাংলাদেশের বোলাররা অন্য চিন্তা করলেও পারতেন বলে মনে করেন হাসান, ‘পেসাররা ভালো করছিল, উইকেট পড়ছিল দেখেই হয়তো স্পিনাররা একটু দেরিতে এসেছে। আমার মনে হয়, বোলিংটা একটু ইকোনমিক্যাল হতে পারত, গোছানো হতে পারত। চেষ্টা করছি, সবাই মিলে একটু ভালো জায়গায় বল করে ব্যাটসম্যানকে চাপে রাখতে। এখন মোমেন্টাম ওদের দিকে আছে। কালকে (আজ) দ্রুত অলআউট করতে পারলে মোমেন্টাম আমাদের দিকে আসবে। ৪০০ রানের আগে অলআউট করতে পারলে ভালো হবে।’