কলকাতায় আগামীকাল বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ। আর সেটি বাংলাদেশের। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে এ ম্যাচের আগে বড় ঘটনা ছিল সাকিব আল হাসানের হঠাৎ ঢাকায় ফিরে আসা। কোচ নাজমূল আবেদীন ফাহিমের সঙ্গে ব্যাটিংয়ে ব্যাপারে পরামর্শ নিতেই তিনি এসেছিলেন। দল যখন কলকাতায়, তখন সাকিবের ঢাকায় এসে ব্যাটিং অনুশীলন করাটা ব্যাপক আলোচনার জন্মই দিয়েছে। হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনাও। আজ কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচের আগের সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে কথা বলতে হলো তাসকিন আহমেদকে।
ব্যাপারটা কতটা নিয়মের মধ্যে থেকে? কতটা প্রয়োজনীয় ছিল? সাকিব অধিনায়ক বলেই কি বাড়তি সুবিধাটা পেলেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে তাসকিন বলেছেন, ‘টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের অনুমতি নিয়েই সাকিব ভাই ঢাকায় গিয়েছেন। তিনি টিম ম্যানেজমেন্টকে বলেছিলেন, নিজের ব্যাটিং নিয়ে কাজ করতে চান। সেই দিন আমাদের বিশ্রামও ছিল। তাই ম্যানেজমেন্ট তাঁকে অনুমতি দিয়েছে। কলকাতা থেকে ঢাকাও কাছে। তিনি ক্রিকেটীয় কারণেই গিয়েছিলেন। অন্য কিছু না। তিনি ঢাকায় চার ঘণ্টা ব্যাটিং অনুশীলন করেছেন।’
সাকিব এবারের বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি। দলে অবদানও রাখতে পারেননি। তাসকিন তাঁর ঢাকা যাওয়ার মূল কারণ বললেন সেটিই, ‘আমরা টিমমেটরা তাঁর এই যাওয়ায় প্রশংসাই করেছি। তাঁর ব্যাটিং আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাকিব ভাইও এটা নিয়ে খুবই মরিয়া যে তিনি কীভাবে ভালো করবেন। তিনি কোনো নিয়ম ভেঙে ঢাকা যাননি।’
বিশ্বকাপের মধ্যেই অধিনায়কের দেশে একটা দিন কাটিয়ে আসা নিয়ে দলে কোনো সমস্যা তৈরি করেনি বলেই জানিয়েছেন তাসকিন, ‘টিম স্পিরিট নিয়ে কোনো সমস্যা হয়নি। এটা দলের মধ্যে প্রভাবও তৈরি করেনি। সাকিব ভাই দেশে গিয়েছিলেন নিজের খেলার কিছু উন্নয়নের জন্যই। তিনি এখানে ফেরার পর আমরা সবাই খুব ভালো সময় কাটিয়েছি। দলের অফিশিয়াল অনুশীলনের আগেই তো তিনি ফিরে এসেছেন।’
বিশ্বকাপে বাজে সময় কাটাচ্ছে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচটা জেতার পর পরের চারটি ম্যাচেই দল হেরেছে। এ নিয়ে আছে তীব্র সমালোচনা। তাসকিন অবশ্য ব্যাপারটিকে বেশ স্বাভাবিকভাবেই দেখতে চান, ‘যখন দল খারাপ করে, তখন আমাদের ১৫ জনকেই (খেলোয়াড়েরা) সবকিছু নিতে হয়। সব সমালোচনা, সব চাপ। এটাই স্বাভাবিক। আবার দল যখন ভালো করবে, তখন আমরাই সবাই মিলে উদ্যাপন করব ভালো সময়টা।’