৪ ওভারে ৭৩ রান দিয়ে আইপিএলের ইতিহাসের সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ের নতুন রেকর্ড গড়েছেন মোহিত শর্মা। আজ দিল্লিতে স্বাগতিক দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে এ অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ড হয়েছে গুজরাট টাইটানস পেসারের।
ঋষভ পন্তের ৪৩ বলে ৮৮ রানের অপরাজিত ইনিংসের সঙ্গে অক্ষর প্যাটেলের ৪৩ বলে ৬৬ ও ট্রিস্টান স্টাবসের ৭ বলে ২৬ রানের ক্যামিওতে ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে দিল্লি তোলে ২২৪ রান।
প্রথম ৩ ওভারে ৪২ রান দেওয়া মোহিতই করতে এসেছিলেন ইনিংসের শেষ ওভার। প্রথম বলে পন্ত নেন ডাবলস, পরের বলটিতে ওয়াইড করেন মোহিত। ২০তম ওভারে মোহিতের বিপক্ষে পন্তের পরের ৫ বলের স্কোরিং শট ছিল এমন—ছক্কা, চার, ছক্কা, ছক্কা, ছক্কা। ফলে শেষ ওভারেই আসে ৩১ রান। ৩৪ বলে ফিফটি করা পন্ত তাঁর শেষ ৯ বলে তোলেন ৩৩ রান। এবারের মৌসুমে তৃতীয় ফিফটি করা পন্তের এটিই সর্বোচ্চ স্কোর।
মোহিতের ৭৩ রান ছাড়িয়ে গেল ২০১৮ সালে বাতিল থাম্পির দেওয়া ৭০ রানের রেকর্ডকে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে সে মৌসুমে খেলা ডানহাতি পেসার থাম্পির সে রেকর্ড হয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা দিল্লি পাওয়ারপ্লেতে জেক ফ্রেজার-ম্যাগার্ক, পৃথ্বি শ ও শেই হোপকে হারিয়ে চাপে পড়েছিল। সেখান থেকে তাদের টানে পন্ত ও অক্ষরের ৬৮ বলে ১১৩ রানের জুটি। শেষ দিকে দিল্লি দেয় বড় একটা লাফ। শেষ ৫ ওভারেই আসে ৯৭ রান! এর মধ্যে মোহিতের ৩ ওভারে ওঠে ৬১ রান। ১৯তম ওভারে প্রথমবার আসা সাই কিশোর ৬ বলেই দেন ২২ রান।
মোহিত ও থাম্পির পর আইপিএলের সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ের তালিকায় আছেন যশ দয়াল (৬৯) ও রিস টপলি (৬৮)। এর মধ্যে বেঙ্গালুরুর হয়ে খেলা টপলি ৬৮ রান দিয়েছিলেন এ মৌসুমেই, সানরাইজার্স হায়দরাবাদের রেকর্ড ২৮৭ রানের ম্যাচে।
স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে সব মিলিয়ে রেকর্ডটি ডার্বিশায়ারের ম্যাথু ম্যাকিয়ারনানের। ২০২২ সালে সমারসেটের বিপক্ষে এ লেগ স্পিনার ৪ ওভারে দিয়েছিলেন ৮২ রান।