বিশ্বকাপজয়ের রাতে প্যাট কামিন্স–মিচেল স্টার্ক
বিশ্বকাপজয়ের রাতে প্যাট কামিন্স–মিচেল স্টার্ক

আইপিএলে স্টার্ক–কামিন্সের রেকর্ড গড়া দাম নিয়ে প্রশ্ন ডি ভিলিয়ার্স-গিলেস্পির

প্রথমে প্যাট কামিন্স, পরে মিচেল স্টার্ক। মাত্র দুই ঘণ্টার ব্যবধানে আইপিএলে সবচেয়ে দামি খেলোয়াড়ের রেকর্ড গড়েছেন দুই অস্ট্রেলিয়ান পেসার। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ কামিন্সকে কিনেছে ২০ কোটি ৫০ লাখ রুপিতে, এর কিছুক্ষণ পরই স্টার্কের জন্য কলকাতা নাইট রাইডার্সের দাম ওঠায় ২৪ কোটি ৭৫ লাখ রুপি।

দুই অস্ট্রেলিয়ান পেসারের এত দাম ওঠা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁদেরই স্বদেশি সাবেক ক্রিকেটার জেসন গিলেস্পি এবং দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স। স্টার্ক, কামিন্স দুজনই ভালো বোলার। কিন্তু আইপিএলে এত দাম পাওয়ার মতো কি না, এমন প্রশ্ন তাঁদের।

ডি ভিলিয়ার্সকে তাঁর ইউটিউব চ্যানেলের প্রশ্নোত্তর পর্বে জিজ্ঞেস করা হয়, এবারের মিনি নিলামে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস কলকাতা ও হায়দরাবাদের তুলনায় ভালো কেনাবেচা করেছে বলে মনে করেন কি না? প্রশ্নকর্তার কথায় সায় দিয়ে ডি ভিলিয়ার্স বলেন, ‘আমি একদমই একমত। মুম্বাই খুবই স্মার্ট কেনাকাটা করেছে। মুম্বাই, চেন্নাই এবং অন্য যে দলগুলো আইপিএলে ভালো করে, তাদের কেনাকাটাও ভালোই হয়ে থাকে। তারা ভেবেচিন্তেই কেনে, আবেগ দিয়ে কেনে না। কামিন্স ও স্টার্ক, দুজনই অবিশ্বাস্য ভালো বোলার। তবে সত্যিটা হচ্ছে, এতটা দামের কি? এর মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে এবারের নিলামে ফাস্ট বোলারদের চাহিদা কত বেশি ছিল। দাম শুধু বাড়তেই থাকল।’

দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত নিলামে দুই অস্ট্রেলীয় পেসারের রেকর্ড গড়া দামে বিস্মিত গিলেস্পিও। এর মধ্যে কামিন্সের দাম ২০ কোটি ছাড়িয়ে যাওয়াটাই অবাক করেছে সাবেক এই পেসারকে। গত বছর অ্যারন ফিঞ্চ অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার আগপর্যন্ত ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টিতে কামিন্স নিয়মিত ছিলেন না। তাঁর পুরো মনোযোগ ছিল টেস্ট ক্রিকেটে। এ বিষয়টি তুলে ধরে গিলেস্পি অস্ট্রেলিয়ার এসইএন রেডিওর অনুষ্ঠানে বলেন, ‘প্যাট অবশ্যই ভালো মানের বোলার, ভালো মানের নেতাও, যা আমরা এরই মধ্যে দেখেছি। তবে টি–টোয়েন্টি ওর সেরা সংস্করণ নয়। তাকে আমি টেস্ট বোলারই মনে করি। টেস্ট ক্রিকেটই তার আসল জায়গা।’

গত মাসে ভারতের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ জয়ে নেতৃত্ব দিলেও কামিন্স সীমিত ওভার ক্রিকেটে খুব বেশি সফল নন। এখন পর্যন্ত ৫০টি আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে ৭.৩৭ ইকোনমি ও ২৪.৫৪ গড়ে নিয়েছেন ৫৫ উইকেট। আইপিএলের ২০২০ আসরের আগে কলকাতা কামিন্সকে ১৫ কোটি ৫০ লাখ রুপিতে কিনেছিল। এবার সেটি আরও ৫ কোটি বেড়ে গেছে। গিলেস্পির মতে দামটা বেশিই হয়ে গেছে, ‘সে ভালো টি–টোয়েন্টি বোলার। ভুল করে না। কিন্তু আমার চোখে এটা (দাম) অনেক বেশি হয়ে গেছে।’

কামিন্সকে হায়দরাবাদ রেকর্ড দামে কেনার কিছুক্ষণ পরই স্টার্ক তাঁকে ছাড়িয়ে যান। এর আগে আইপিএলে দুই আসরে ২৭ ম্যাচে ৩৪ উইকেট নেওয়া স্টার্ককে কলকাতা কিনেছে প্রায় ২৫ কোটি রুপিতে। বাঁহাতি এই পেসারকে নিয়ে গিলেস্পির বক্তব্যটা এ রকম, ‘দুর্দান্ত কেনাকাটা হয়েছে। প্রচুর টাকা। আমরা সবাই মানি, আইপিএল বিত্তশালী এক টুর্নামেন্ট। আমি মিচের জন্য খুবই খুশি। ওর যে দাম উঠেছে, তাতে একজন বাঁহাতি ফাস্ট বোলার এবং বাঁহাতি সুইং বোলারের কী গুরুত্ব, সেটা ফুটে উঠেছে।’