সেঞ্চুরির পর নাসির হোসেন
সেঞ্চুরির পর নাসির হোসেন

নাসির–নাজমুলের সেঞ্চুরি, মাশরাফিদের বড় হার

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছিলেন নাজমুল হোসেন। ওয়ানডে সিরিজে দুটি ফিফটি করেছেন। টি-টোয়েন্টিতে হয়েছিলেন সিরিজ–সেরা। এরপর তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তেমন রান পাননি এই বাঁহাতি।

আয়ারল্যান্ড সিরিজ শেষে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ফিরেও প্রথম দুই ম্যাচে ছিলেন ব্যর্থ। তবে ব্যর্থতার সময়টা খুব বড় হতে দেননি নাজমুল। লিগের ১১তম রাউন্ডে সিটি ক্লাবের বিপক্ষে করেছেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি। নাজমুলের অপরাজিত ১০২ রানের ইনিংসেই ৫ উইকেটের জয় পেয়েছে আবাহনী।

বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে ১৭৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই মোহাম্মদ নাঈমের উইকেট হারায় আবাহনী। ছন্দে থাকা নাঈমের পর রানের মধ্যে থাকা এনামুল হককেও হারায় আবাহনী। এরপর মাহমুদুল হাসানকে নিয়ে ১০৫ রানের জুটি গড়েন নাজমুল। ৩৯ রানে মাহমুদুল হাসান আউট হওয়ার পর দ্রুত ফেরেন আফিফ হোসেন ও মোসাদ্দেক হোসেনও। তবে সেঞ্চুরিয়ান নাজমুল দলকে আর বিপদে পড়তে দেননি।

ফিফটি পেয়েছেন মুশফিক

এর আগে টসে জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ভালোই শুরু করে সিটি ব্যাংক। ৩৯ রানে প্রথম উইকেট হারানো সিটি ব্যাংক দ্বিতীয় উইকেট হারায় ৮৮ রানে। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। ওপেনার তৌফিক খানের ৭৯ রানের ইনিংসের পরও তাই সিটি ব্যাংক অলআউট হয় ১৭২ রানে। আবাহনীর লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন নেন ৪ উইকেট।

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের আরেক ম্যাচে মাশরাফি বিন মুর্তজার লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। মুনিম শাহরিয়ার, পারভেজ হোসেন, চিরাগ জানিদের ব্যর্থতায় আগে ব্যাট করে ১৬২ রান তোলে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। ৪৯ রানে ৫ উইকেট হারানো রূপগঞ্জকে ১৬২ রান পর্যন্ত নিয়ে যায় ইরফান শুক্কুরের ৫৩ রানের ইনিংস।

১৬৩ রানের জবাবে শেখ জামালের দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও রবিউল ইসলাম ১৪১ রানের জুটি গড়েন। ৭৮ রান করে সাইফ ও ৫৮ রান করে রবিউল ইসলাম আউট হলে বাকি কাজটা শেষ করেন ফজলে মাহমুদ ও তাওহিদ হৃদয়।

মিরপুরে অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে প্রাইম ব্যাংক। নাসির হোসেনের সেঞ্চুরি, মোহাম্মদ মিঠুন ও মুশফিকুর রহিমের ফিফটিতে অগ্রণী ব্যাংকের দেওয়া ২৭৪ রানের লক্ষ্য প্রাইম ব্যাংক টপকে গেছে ৬ উইকেট আর ২০ বল হাতে রেখে। ছক্কা মেরে সেঞ্চুরি করা নাসির অপরাজিত থাকেন ৯৮ বলে ১১২ রান করে।