অস্ট্রেলিয়ার স্পিনার নাথান লায়ন
অস্ট্রেলিয়ার স্পিনার নাথান লায়ন

চল্লিশে কি ৭০০ ছোঁবেন লায়ন

বয়স ৩৬। নামের পাশে ৫০১ টেস্ট উইকেট। অস্ট্রেলিয়ার অফ স্পিনার নাথান লায়নের উইকেটের সংখ্যা যে আরও বাড়বে, তাতে সন্দেহ নেই। টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি বোলার এখন লায়ন। ৫৬৪ উইকেট দিয়ে লায়নের সামনেই আছেন গ্লেন ম্যাকগ্রা। ৭০৮ উইকেট নিয়ে চূড়ায় আছেন আরেক কিংবদন্তি শেন ওয়ার্ন। লায়ন যে গতিতে এগোচ্ছেন, তাতে ম্যাকগ্রা তো বটেই, স্পিন বোলিংয়ের ‘রাজা’ ওয়ার্নকেও ছাড়িয়ে যেতে পারেন।

সাবেক অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক মার্ক টেলর তেমনই মনে করেন। লায়ন আরও তিন-সাড়ে তিন বছর খেলবেন, এমন আভাসও আছে তাঁর কথায়। চ্যানেল নাইনকে টেলর এ নিয়ে বলেছেন, ‘সে যদি খেলা চালিয়ে যায়, তাহলে আমি অবাক হবো না। আমি কিছুদিন আগে তার সঙ্গে কথা বলেছি। সে ইংল্যান্ডে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে কথা বলছিল।’

অস্ট্রেলিয়া দল অ্যাশেজ খেলতে ইংল্যান্ড সফর করবে ২০২৭ সালে। তখন লায়নের বয়স হবে চল্লিশ ছুঁইছুঁই। তবে টেলরের কথা শুনে মনে হতে পারে লায়ন চল্লিশেও খেলা চালিয়ে যেতে চান, ‘ইংল্যান্ডে যাবে ২০২৭ সালে। সেটা তিন, সাড়ে তিন বছর পর। সে যদি ৪০ বছর বয়সেও ক্রিকেট খেলে, আমি তাতে অবাক হবো না। সে খেলাটা খুব উপভোগ করছে, উইকেট নেওয়াও। আমার মনে হয় না সে সহজে খেলা ছাড়বে।’

অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক মার্ক টেলর

কে জানে, অস্ট্রেলিয়ার সর্বকালের সেরা উইকেটশিকারি বোলার হয়েই হয়তো স্পাইক জোড়া তুলে রাখবেন লায়ন। তবে উইকেটের সংখ্যায় শীর্ষে উঠলেও লায়নকে ওয়ার্ন থেকে এগিয়ে রাখতে চান না টেলর। শুধু ওয়ার্ন নন, বিল ও’রেলি, ক্ল্যারি গ্রিমেট—কারও সঙ্গেই তুলনায় যেতে চান না সাবেক এই অস্ট্রেলিয়া ওপেনার।

টেলরের যুক্তি, ‘আমি ইতিহাস নিয়ে কিছু বলতে পছন্দ করি না। কারণ, এখন সময় একেবারেই ভিন্ন। আমার যুগের কথাও যদি বলি, আমরা অনেক বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছি। আপনি যদি শুধু উইকেটের সংখ্যা দেখেন, তাহলে আপনি ও’রেলি ও গ্রিমেট এবং আরও কয়েকজনের নাম ভুলে যাবেন। যারা ১২৩টা করে টেস্ট খেলার সুযোগ পায়নি।’

৭০০ উইকেটের কি দেখা পাবেন লায়ন

ওয়ার্নের প্রসঙ্গ টেনে টেলর যোগ করেন, ‘আপনি ওয়ার্নের ব্যাপারে বলছেন তো, সে ১ নম্বরে আছে; কারণ, সে অনেক ম্যাচ খেলেছে। হ্যাঁ, অবশ্যই সে দারুণ স্পিনার ছিল। তবে সে অনেক ম্যাচ খেলার সুযোগও পেয়েছে। তাই আমি স্পিনারদের তুলনা করতে চাই না।’