হঠাৎ করেই গ্যারি কারস্টেন কেন পাকিস্তানের সাদা বলের প্রধান কোচের দায়িত্ব ছাড়লেন—এমন প্রশ্নের উত্তরে ক্রিকেট দুনিয়ার খবর রাখা বেশির ভাগ মানুষই সামনে নিয়ে আসবেন পাকিস্তানের ক্রিকেটের অস্থিরতা আর বিশৃঙ্খলার বিষয়টি। এটা অবশ্যই ঠিক যে পাকিস্তানের ক্রিকেটের এই অস্থিরতা আর বিশৃঙ্খলা নিরন্তর। কিন্তু এবার আসলে এমন কী ঘটেছিল যে এ বছরের জুন মাসে দায়িত্ব নেওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ এত দ্রুত দায়িত্ব ছেড়ে দিলেন!
এ প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার বাসিত আলীর কথায়। নিজের ইউটিউবে করা আলোচনায় কারস্টেনের পাকিস্তানের কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণ বিশ্লেষণ করেছেন বাসিত আলী। সেখানে বেরিয়ে এসেছে, তাঁর কথা উপেক্ষা করে এবং তাঁকে কোনো পাত্তা না দিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) মোহাম্মদ রিজওয়ানকে সাদা বলে দলের অধিনায়ক নির্বাচন করার কারণেই সরে দাঁড়িয়েছেন কারস্টেন।
দেশের মাটিতে বাংলাদেশের কাছে দুই টেস্টের সিরিজে ধবলধোলাইয়ের পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট হেরে যায় পাকিস্তান। এরপর নির্বাচক কমিটিতে বদল আনে পিসিবি। প্রধান কোচকে দল নির্বাচনের প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়া হয়। কারস্টেন এরপরও মনে করেছিলেন, হয়তো অধিনায়ক নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তাঁর মতামতে গুরুত্ব দেওয়া হবে। তিনি রিজওয়ানকে অধিনায়ক করার পক্ষে ছিলেন না। তিনি এমন একজনকে অধিনায়ক হিসেবে চেয়েছিলেন, যে খেলোয়াড়টি পাকিস্তানের সাদা বলের সর্বশেষ দলেই নেই।
কারস্টেনের কথায় কোনো গুরুত্ব না দিয়ে গত পরশু অস্ট্রেলিয়া ও জিম্বাবুয়ে সফরের ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পর রিজওয়ানকে সাদা বলের অধিনায়ক আর আগা সালমানকে সহ-অধিনায়ক করে পিসিবি। নির্বাচক আকিব জাভেদকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে দুজনের নাম ঘোষণা করেন পিসিবির প্রধান মহসিন নাকভি। পাকিস্তান দলের অন্য নির্বাচকেরা হলেন আলিম দার, আজহার আলী, আসাদ শফিক ও হাসান চিমা।
বিষয়টি নিয়ে বাসিত আলী তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে বলেছেন, ‘রিজওয়ানকে অধিনায়ক বানানোর পরই সবকিছুর শুরু। কারস্টেন নেতৃত্বে অন্য কোনো খেলোয়াড়কে চেয়েছিলেন। এমন কাউকে, যে বর্তমান এই দলে নেই। তিনি ভেবেছিলেন, তাঁর পুরো কর্তৃত্ব আছে। কিন্তু তিনি বোঝেননি যে আমাদের দেশে এক রাতের মধ্যে পিসিবির চেয়ারম্যানই বদলে যেতে পারে।’