লিটন দাস বোল্ড হওয়ার পরই মুখে আঙুল দিয়ে ‘চুপ’ করে থাকার ইশারা করতে করতে উদ্যাপন করছিলেন মোহাম্মদ সিরাজ। ভারতীয় দলের বাকি সদস্যদেরও বেশ ক্ষীপ্র দেখা গেছে তখন। মূলত লিটন বোল্ড হওয়ার আগের বলে দুজনের মধ্যে একটু উত্তেজনা দেখা গিয়েছিল। দিনের খেলা শেষে ভারতীয় পেসার নিজেই জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানকে তিনি কী বলেছিলেন।
ম্যাচের ১৪তম ওভারের প্রথম বলটি ছিল অফ স্টাম্পের বাইরে, ব্যাকফুটে গিয়ে সেটি ডিফেন্ড করেছিলেন লিটন। এরপরই লিটনের দিকে এগিয়ে গিয়ে কিছু একটা বলতে দেখা যায় সিরাজকে। এরপর সিরাজ যখন বোলিং মার্কের দিকে ফিরছিলেন, তাঁকে অনুসরণ করেন লিটন। কানের কাছে হাত এনে যা ইঙ্গিত করেন, সেটির অর্থ—সিরাজ কী বলছেন, তা তিনি বুঝতে পারছেন না। দুজনের মধ্যে তৈরি হওয়া এ পরিস্থিতি সামলাতে এগিয়ে আসতে হয় আম্পায়ার শরফউদ্দৌলাকে।
দিনের খেলা শেষে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সিরাজ হাসতে হাসতে জানালেন, ‘না, তেমন কিছু না। শুধু বলেছি, এটা টি-টোয়েন্টি নয়, টেস্ট ক্রিকেট। “সেনসিবল” ক্রিকেট খেলতে হবে তোমার।’
সিরাজের সঙ্গে সে পরিস্থিতিতে লিটনের মনোযোগ নড়ে গেল কি না, সেটি বলা অবশ্য কঠিন। ঠিক পরের বলে বোল্ড হন বাংলাদেশ ব্যাটসম্যান। অবশ্য চট্টগ্রামের এ উইকেটে ব্যাটসম্যানদের জন্য সবচেয়ে যে অস্বস্তি, সেই হঠাৎ নিচু হওয়া বলই বিপদ ডেকে আনে লিটনের। ব্যাট নামাতে একটু দেরি করেন, ব্যাটের নিচের দিকের অংশে লেগে বল আঘাত হানে স্টাম্পে।
সিরাজ বলেছেন, তাঁর পরিকল্পনা ছিল শুধু স্টাম্প ধরে বল করার, ‘স্টাম্প লাইনে করতে চেয়েছি, সেটা নিচু হয়েছে। আমার পরিকল্পনা ছিল এমন, স্টাম্প ধরে করা।’ লিটনকে স্লেজিংটা পরিকল্পনা করেই করেছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে অবশ্য বলেছেন, ‘না না, কোনো পরিকল্পনা ছিল না।’
ভারতের ৪০৪ রানের জবাবে ৫ রানে ২ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর আজ প্রথমবারের মতো ৪ নম্বরে ব্যাটিং করতে এসেছিলেন লিটন। সহজাত স্ট্রোকপ্লেতে এরপর প্রতি-আক্রমণ শুরু করেছিলেন। চা-বিরতির আগে অষ্টম ওভারে উমেশ যাদবকে টানা দুটি চার মেরেছিলেন। উমেশের পরের ওভারে মেরেছিলেন টানা তিনটি চার। তবে ৩০ বলে ২৪ রান করেই শেষ পর্যন্ত ফিরতে হয়েছে তাঁকে।
সিরাজ দিন শেষ করেন ১৪ রানে ৩ উইকেটের দারুণ ফিগার নিয়ে। প্রথম দিন ৯ ওভার বল করেছেন এই পেসার। লিটনের আগে-পরে পেয়েছেন দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন ও জাকির হাসানের উইকেটও।