শ্রীলঙ্কার ১৭৪ রান তাড়া করতে নেমে ২৪ রানে নেই ৫ উইকেট। এই ধ্বংসস্তূপ থেকে বাংলাদেশের স্কোরটা শেষ পর্যন্ত ১৯.৪ ওভারে ১৪৬। হারটা ২৮ রানের, তবে ব্যাটিংয়ের শুরুতে লাগা মড়ক আরেকটু জারি থাকলে এই হারের ব্যবধান অনেক বাড়ত।
কেউ কেউ নিশ্চয়ই টি–টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন সংগ্রহ কত—এসব পরিসংখ্যানও খুলে বসেছিলেন কিংবা মনে করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু স্কোরটা শেষ পর্যন্ত ‘ভদ্রস্ত’ হয়েছে আটে নামা রিশাদ হোসেনের ৩০ বলে ৫৩ রানের ইনিংসে। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে রিশাদের প্রশংসাই করলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন।
শুধু রিশাদ নয়, তাসকিন আহমেদ (২১ বলে ৩১) ও মেহেদী হাসানের (২০ বলে ১৯) প্রশংসাও করলেন নাজমুল। বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যানরা যা পারেননি, সাত, আট ও নয়ে নেমে সেটাই করে দেখিয়েছেন এই তিন বোলার। মেহেদী অবশ্য স্পিন–অলরাউন্ডার। দলের সর্বোচ্চ রানের তিনটি জুটির সঙ্গেই এই তিনজন জড়িত। সপ্তম উইকেটে ৩১ বলে ৪৪ রানের জুটি গড়েন মেহেদী ও রিশাদ। অষ্টম উইকেটে তাসকিনকে সঙ্গে নিয়ে ২১ বলে ৪১ রানের জুটিতে রিশাদ। এরপর শরীফুল ইসলামকে নিয়ে ৭ বলে ১৭ রানের জুটি গড়েন তাসকিন, যেখানে এই ডানহাতি পেসারের অবদান ৫ বলে ১৩।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থাপক শামীম আশরাফ চৌধুরীকে নাজমুল তাই বললেন, ‘যদি তিন ম্যাচে তাকান, তাহলে দেখবেন আমরা কিছু জায়গায় ভালো ক্রিকেট খেলেছি। বিশেষ করে (আজ) রিশাদ, তাসকিন ও মেহেদী যেভাবে ব্যাট করল, সত্যিই তাদের জন্য ভালো লাগছে।’
শ্রীলঙ্কার পেসার নুয়ান তুষারার হ্যাটট্রিকে টপ অর্ডারের ধ্বংস্তূপে পরিণত হওয়া নিয়েও কথা বলেছেন নাজমুল, ‘নুয়ান তুষারা যেভাবে বোলিং করেছে তাতে কৃতিত্ব দিতেই হবে। সে অসাধারণ বোলিং করেছে। প্রথম ছয় ওভারে আমরা কীভাবে খেলব, সে বিষয়ে সাবধান হতে হবে।’
২–১ ব্যবধানে টি–টোয়েন্টি সিরিজ হারার পর বাংলাদেশের সামনে এখন ওয়ানডে সিরিজ। চট্টগ্রামে ১৩ মার্চ শুরু হবে প্রথম সিরিজ। নাজমুল মনে করেন, ওয়ানডে সিরিজের ভালো করার আত্মবিশ্বাসটা টি–টোয়েন্টি সিরিজ থেকে তুলে নিতে পেরেছে বাংলাদেশ দল, ‘এই সিরিজ থেকে আমরা অনেক আত্মবিশ্বাস পাব। তবে সংস্করণটা আলাদা। আমরা ভালো করতে চাই।’