সেঞ্চুরি পেয়েছেন গ্রিন, দাপুটে জয় পেয়েছে মুম্বাই
সেঞ্চুরি পেয়েছেন গ্রিন, দাপুটে জয় পেয়েছে মুম্বাই

মাধওয়ালের তোপের পর গ্রিনের সেঞ্চুরি, নিজেদের কাজটা করে রাখল মুম্বাই

মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের ‘পার্টি’ ভন্ডুল করা—এ ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের অন্যতম বড় ‘প্রাপ্তি’ হওয়ার কথা ছিল সেটিই। অবশ্য এ ম্যাচে জয় তাদের পয়েন্ট তালিকার তলানি থেকেও টেনে তুলতে পারত। অন্যদিকে প্লে-অফের আশা টিকিয়ে রাখতে গেলে জয়ের বিকল্প ছিল না মুম্বাইয়ের। ওয়াংখেড়েতে বোলিংয়ে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর পর ক্যামেরন গ্রিনের ৪৭ বলে ১০০ রানের অপরাজিত ইনিংসে মুম্বাই পেয়েছে ৮ উইকেটের জয়। আপাতত তাই নিজেদের কাজটি করে রাখল রোহিত শর্মার দল।  

১৪ ম্যাচ শেষে মুম্বাইয়ের পয়েন্ট এখন ১৬। দিনের পরের ম্যাচে সবার আগে প্লে-অফ নিশ্চিত করা গুজরাট টাইটানসের মুখোমুখি হওয়ার কথা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর। ‘হওয়ার কথা’ বলতে হচ্ছে, কারণ এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বৃষ্টির কারণে টসই হয়নি সে ম্যাচের শেষ পর্যন্ত বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হলে কপাল পুড়বে বেঙ্গালুরুর, প্লে-অফের চতুর্থ স্থানটি পেতে যে ওই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই তাদের। নেট রানরেটে এগিয়ে বলে জিতলেই প্লে-অফ নিশ্চিত হয়ে যেত তাদের।

টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা সানরাইজার্স হায়দরাবাদের নজর একসময় নিশ্চিতভাবেই ছিল ২০০ পেরিয়ে আরও দূরে, ১৭তম ওভারেও ১ উইকেটে ১৭৪ রান ছিল তাদের। কিন্তু মাধওয়ালের তোপে পড়ে তারাই শেষ ২১ বলে ২৬ রান তুলতেই হারায় ৪ উইকেট।

হায়দরাবাদের দুই ওপেনার ভিভ্রান্ত শর্মা ও মায়াঙ্ক আগারওয়াল পাওয়ার প্লেতে তোলেন ৫৩ রান। ১৪তম ওভারে মাধওয়ালের বলে ৪৭ বলে ৬৯ রান করা করা ভিভ্রান্ত ফিরলেও রানের গতি ধরে রাখে হায়দরাবাদ। আগারওয়ালের সঙ্গে ভিভ্রান্তের ওপেনিং জুটিতে ওঠে ১৪০ রান।

৪ উইকেট নেন মাধওয়াল

৭-১৬, মাঝের ১০ ওভারে হায়দরাবাদ তোলে ১১৫ রান। আইপিএলে দলটির ইতিহাসে ইনিংসের এ পর্যায়ে এটি তাদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর, সর্বোচ্চ ১২৫ রান তারা তুলেছিল ২০১৯ সালে বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে।

তবে ১৭তম ওভারে ৪৬ বলে ৮৩ রান করা আগারওয়ালকে মাধওয়াল ফেরালে ছন্দপতন হয় হায়দরাবাদের। তিনে নামা হাইনরিখ ক্লাসেনের পর গ্লেন ফিলিপস, এইডেন মার্করাম ও হ্যারি ব্রুকের মিডল অর্ডার তেমন কিছু করতে পারেনি। এ চার জন ২৫ বলে তুলতে পারেন মাত্র ৩২ রান। মাধওয়াল ৪ উইকেট নেন ৩৭ রানে।

রানতাড়ায় তৃতীয় ওভারেই ফেরেন ঈশান কিষান, ভুবনেশ্বর কুমারের বলে ক্যাচ দিয়ে, ১২ বলে ১৪ রান করে। এরপরও পাওয়ার প্লেতে মুম্বাই ৬০ রান তোলে মূলত ক্যামেরন গ্রিনের ঝড়ে। মুখোমুখি প্রথম বলেই ভুবনেশ্বরকে চার মেরে শুরু করেন গ্রিন, এরপর এগোতে থাকেন ফাস্ট ফরোয়ার্ড মুডে।

রান তাড়ায় মুম্বাইকে এগিয়ে নেয় গ্রিন ও রোহিতের জুটি

রোহিতের সঙ্গে গ্রিনের জুটিতে ৫০ রান ওঠে মাত্র ২৪ বলেই। রোহিত অবশ্য শুরুতে ছিলেন বেশ ধীরগতির, প্রথম ১৬ বলে মুম্বাই ও ভারত অধিনায়কের রান ছিল মাত্র ১৬। পরে ভাগ্যের ছোঁয়া পেয়ে পুষিয়ে দেন সেটিও। ৩১ বলে ফিফটিও পূর্ণ করেন। ১৪তম ওভারে মায়াঙ্ক ডাগরের বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে নিতীশ কুমারের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হন ৩৭ বলে ৫৬ রান করে। গ্রিনের সঙ্গে জুটিতে ওঠে ৬৫ বলে ১২৮ রান।

রোহিত ফেরার পর ৪১ বলে ৫৩ রান প্রয়োজন ছিল মুম্বাইয়ের। সূর্যকুমার যাদব ও গ্রিনের ব্যাটিংয়ে মুম্বাই সে জয় পায় ১২ বল বাকি থাকতেই। তবে শেষ দিকে রোমাঞ্চ বলতে ছিল গ্রিনের সেঞ্চুরি পাওয়া নিয়েই। মাত্র ২০ বলে ফিফটি করা গ্রিন সেঞ্চুরি করতে নেন ৪৭ বল, সেটি পূর্ণ করেন ম্যাচের শেষ বলে। ইনিংসে শেষ পর্যন্ত তিনি মারেন ৮টি করে চার ও ছক্কা। সূর্যকুমার অপরাজিত ছিলেন ১৬ বলে ২৫ রান করে।