আইপিএলে ইমপ্যাক্ট বদলির নিয়ম পছন্দ নয় রোহিত শর্মার। আবার এই নিয়মকে ‘ভালো’ বলে অভিহিত করেছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবি শাস্ত্রী। এবার বিরাট কোহলি বললেন, ইমপ্যাক্ট বদলি নিয়ে তাঁর ভাবনা রোহিতের মতোই। ভারতের তারকা ব্যাটসম্যান টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটসম্যানদের দাপট নিয়েও কথা বলেছেন।
জিও সিনেমায় দেওয়া সাক্ষাৎকারে কোহলি বলেছেন, চার-ছক্কা হলেই ম্যাচ জমে না। ব্যাটসম্যান ও বোলারের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জায়গা থাকলেই ক্রিকেট আনন্দদায়ক হয়ে ওঠে।
এবারের আইপিএলে প্রচুর রান ওঠার অন্যতম কারণ ইমপ্যাক্ট বদলি, এমনটা বলেছেন দলগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেকেই। ইমপ্যাক্ট বদলি নিয়মের কারণে দলগুলো কার্যত ১২ জনকে খেলায়। একজন বাড়তি ব্যাটসম্যান আছেন ভরসায় অন্যদের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের সুযোগ বাড়ে। ভারত অধিনায়ক রোহিত বলেছিলেন, ইমপ্যাক্ট বদলির কারণে অলরাউন্ডারদের সুযোগ কমে যাচ্ছে। ১১ জনের খেলায় ১২ জনের মাঠে নামায় বিনোদনের নামে ক্রিকেট থেকে অনেক কিছু চলে যাচ্ছে।
সতীর্থের কথায় সমর্থন জানিয়ে কোহলি বলেন, ‘আমি রোহিতের সঙ্গে একমত। খেলার একটা দিক হচ্ছে বিনোদন, কিন্তু সেটা করতে গিয়ে কোনো সমতা থাকছে না। এ অবস্থায় বোলারদের খারাপ লাগারই কথা। আমি আগে কখনো এমন পরিস্থিতি দেখিনি, যেখানে একজন বোলারকে প্রতিটি বলে চার বা ছয় হজমের কথা ভাবতে হচ্ছে। আমরা উঁচু পর্যায়ের ক্রিকেট খেলছি, সেখানে একপক্ষের দাপট থাকা উচিত নয়। ব্যাট আর বলের সমতার মধ্যে একধরনের সৌন্দর্য আছে। সব দলে তো আর বুমরা বা রশিদ খান নেই।’
ইমপ্যাক্ট বদলির কারণে ব্যাটসম্যানদের মধ্যে মেরে খেলার প্রবণতা বেড়েছে বলে মনে করেন কোহলি। এ ক্ষেত্রে নিজেকে উদাহরণ হিসেবেও তুলে ধরেছেন, ‘আমি যে পাওয়ারপ্লেতে ২০০ স্ট্রাইক রেটে খেলেছি, এর কারণ দলে বাড়তি একজন ব্যাটসম্যান থাকা। আমি জানি ৮ নম্বরেও ব্যাটিং করার মতো একজন আছে। আমার মতে, এই ব্যাপারটা খেলার সমতায় ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। শুধু আমি নই, অনেকেই এভাবেই দেখছে ব্যাপারটা।’
বিসিসিআই সচিব জয় শাহ বলেছেন, ইমপ্যাক্ট বদলির নিয়ম আইপিএলে ভবিষ্যতেও থাকবে কি না, সেটা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর পর্যালোচনা করা হবে। এ ক্ষেত্রে সেটা বাদ দেওয়া হবে বলেই মনে করেন কোহলি, ‘জয় ভাই এরই মধ্যে নিয়মটা পর্যালোচনার কথা বলেছেন। আমি নিশ্চিত, খেলায় সমতা আনার জন্য তারা একটা উপসংহার টানতে পারবেন। একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে নিয়মটা আমি ভালো বলতে পারি। কিন্তু ম্যাচ তো জমজমাট হতে হবে। ক্রিকেটে চার-ছক্কা হলেই ম্যাচ জমে না। ১৬০ রান ডিফেন্ড করতে পারলেও ম্যাচ জমে।’