আফিফ হোসেনের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার খুব বেশি দিনের নয়, মাত্র সাড়ে চার বছরের। এই অল্প সময়েই অনেকবার বাংলাদেশকে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়তে দেখেছেন। যার অনেক ম্যাচে হাল ধরে ভাঙা ইনিংস মেরামতও করেছেন। এভাবে প্রায়ই দলকে বিপদ থেকে উদ্ধার করতে করতে এখন চাপ জিনিসটা সয়ে গেছে আফিফের। এখন তিনি চাপটা উপভোগই করেন।
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে কাল আরেকবার চাপ সামলানোর সামর্থ্য দেখিয়েছেন আফিফ। প্রথমে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ দল ৭৭ রানেই হারিয়ে ফেলেছিল ৫ উইকেট। এরপরও যে ২০ ওভার শেষে বাংলাদেশ ১৫৮ রান তুলতে পেরেছে, এর কৃতিত্ব বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের।
সাকিব আল হাসান না থাকায় এই সিরিজে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া নুরুল হাসানকে নিয়ে ষষ্ঠ উইকেটে গড়েছেন অবিচ্ছিন্ন ৮১ রানের জুটি। ৫৫ বল খেলে ৭৭ রানে অপরাজিত থাকেন আফিফ। ১৪০ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসটিতে বাউন্ডারি থেকে নিয়েছেন ৪৬ রান (৭টি চার ও ৩টি ছয়)।
দলের বিপর্যয়ের সময়ে প্রয়োজনে সিঙ্গেলস–ডাবলস নেওয়ার পাশাপাশি টি–টোয়েন্টির দাবি মেনে বড় শট খেলার দক্ষতাই আফিফকে দলে অপরিহার্য করে তুলেছে।
ম্যাচ শেষে চাপ সামলানোর বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘চাপের মধ্যে ব্যাট করতে আমার ভালোই লাগে। আজ ম্যাচের শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করতে চেয়েছি। ভালো লাগছে যে সফল হতে পেরেছি।’
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে কাল সিরিজের প্রথম ম্যাচে চার নম্বরে ব্যাটিং করতে নামেন আফিফ। ৫০ ম্যাচের টি–টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এই নিয়ে সপ্তমবার চার নম্বরে ব্যাটিং করতে নেমেছেন।
এত দিন এই পজিশনে ব্যাটিং করতেন মুশফিকুর রহিম। এশিয়া কাপের পর টি–টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন অভিজ্ঞ এ ব্যাটসম্যান।
মুশফিকের অবসরের সুবাদে চার নম্বরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেছেন আফিফ। ম্যাচ শেষে তিনি বলেছেন, ‘কয়েকজন সিনিয়র না থাকলেও বাড়তি কোনো চাপ অনুভূব করিনি। আমরা সব সময় নিজেদের সেরা একাদশ নিয়ে খেলি। আশা করি সামনের ম্যাচেও রান পাব।’
আমিরাতের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টি–টোয়েন্টি আগামীকাল।