২০১৯ সালের কথা। চোট আর বাজে ফর্মে তাসকিন আহমেদ তখন জাতীয় দলের বাইরে। বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটিং নিয়েও তখন টুকটাক অনুশীলন করতেন তিনি। একদিন মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের ইনডোরে একাই ব্যাটিং অনুশীলন করার ফাঁকে তাসকিন বলছিলেন, ‘ব্যাটিংটাও প্র্যাকটিস করছি। নিউজিল্যান্ডের জেমস ফ্রাঙ্কলিন আছে না? সে কিন্তু বোলার ছিল। পরে ব্যাটিংয়েও ভালো করা শুরু করে।’
এরপর অনেক সময় কেটেছে। চোট ও বাজে ফর্মের আঁধার কাটিয়ে তাসকিন জাতীয় দলে ফিরেছেন। এখন তিন সংস্করণের ক্রিকেটেই তিনি বাংলাদেশ পেস বোলিং আক্রমণের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তবু বোলিংয়ের ধার বাড়ানোর চেষ্টাটা প্রতিনিয়ত করে যাচ্ছেন তাসকিন। স্বপ্ন দেখেন বিশ্বের অন্যতম সেরা ফাস্ট বোলার হওয়ার। পাশাপাশি ব্যাটিংয়েও উন্নতি এনে হতে চান ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার টেলএন্ডারদের মতো দক্ষ ব্যাটসম্যান। লোয়ার অর্ডারে ব্যাট করতে চান স্টার্ক–কামিন্সদের মতো।
অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডে দেখবেন বোলাররাও ভালো ব্যাটিং করে, দলের হয়ে অবদান রাখে। আমি চাইছি না টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান হতে, আমি চাচ্ছি ভালো টেলএন্ডার হতে। যাতে যদি সে রকম পরিস্থিতি আসে, তখন ব্যাটারদের সমর্থন দিতে পারি ভালোভাবে।তাসকিন আহমেদ, বাংলাদেশের পেসার
আজ জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তাসকিনের বিপিএল দল ঢাকা ডমিনেটরসের অনুশীলন শেষে তাসকিন নিজের স্বপ্নের কথা জানান, ‘আমার লক্ষ্য একজন ভালো মানের টেলএন্ডার হওয়া। অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডে দেখবেন বোলাররাও ভালো ব্যাটিং করে, দলের হয়ে অবদান রাখে। আমি চাইছি না টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান হতে, আমি চাচ্ছি ভালো টেলএন্ডার হতে। যাতে যদি সে রকম পরিস্থিতি আসে, তখন ব্যাটারদের সমর্থন দিতে পারি ভালোভাবে।’
কথা প্রসঙ্গে ভারত সিরিজে মেহেদী হাসান মিরাজের পারফরম্যান্সের বিষয়টিও এল, ‘সাম্প্রতিক সময়ে দেখবেন অনেক লোয়ার অর্ডার জুটিতে ম্যাচ জয় আসছে। মিরাজ দারুণ উন্নতি করছে। আমিও যদি উন্নতি করতে পারি…মিরাজ তো অলরাউন্ডার ছিলই। আমি যদি বোলার হিসেবে ব্যাটিংয়ে উন্নতি করতে পারি, সেটা দল ও আমার নিজের জন্যই ভালো।’
২০২১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারে টেস্টে ৭৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তাসকিন। তিন সংস্করণের ক্রিকেটে এটিই তাসকিনের একমাত্র ফিফটি। এর পর থেকে ধারাবাহিকভাবে লোয়ার অর্ডারে জুটি গড়তে তাসকিন অবদান রাখছেন।