দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এক আইপিএলই দেখেছে এবার ক্রিকেট–বিশ্ব। চার–ছক্কায় ব্যাটসম্যানরা যেমন মাতিয়ে রেখেছিলেন মাঠ, তেমনি বোলাররাও দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ভরিয়ে দিয়েছেন ক্রিকেটপ্রেমীদের মন। আইপিএল নতুন কিছু রেকর্ডও দেখেছে এবার।
পঞ্চম শিরোপা জিতে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের সঙ্গে এখন যৌথভাবে সফলতম দল চেন্নাই সুপার কিংস।
ক্রিকেট বিশ্বে এ মুহূর্তে সবচেয়ে আলোচিত নামগুলোর একটি শুবমান গিল। বছরের শুরু থেকে এবারের আইপিএলে—গিল তাঁর ব্যাটিং-নৈপুণ্যের প্রদর্শনীতে বুঝিয়েছেন, সময়টা এখন তাঁর। মাঠের চারপাশে নান্দনিক সব শট খেলবেন, পরিণত মস্তিষ্কে ইনিংসগুলো বড় করবেন, দলকে পৌঁছে দেবেন জয়ের বন্দরে—ব্যাপারগুলো যেন অভ্যাসে পরিণত করেছেন গুজরাট টাইটানসের ভারতীয় এই ওপেনার।
টি–টোয়েন্টিতে বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান জস বাটলার। কিন্তু এবারের আইপিএল তাঁর জন্য ছিল দুঃস্বপ্নের মতো। এবারের মৌসুমে সব মিলিয়ে ৫বার ‘ডাক’ মেরেছেন বাটলার। এটি আইপিএল তো বটেই, স্বীকৃতি টি-টোয়েন্টিতে এক মৌসুমে সর্বোচ্চসংখ্যক ‘ডাক’ মারার রেকর্ড। ৩.৩-০-৫-৫—আকাশ মাধওয়ালের এই বোলিং ফিগার অবিশ্বাস্য নয়তো কি! আন্তর্জাতিক ক্রিকেট না খেলা বোলারদের মধ্যে এটিই আইপিএলের সেরা বোলিং। প্লে–অফ ম্যাচে ৫ উইকেট শিকারের প্রথম কীর্তিও এটি।
গত রাতে ফাইনাল শেষে আইপিএল ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন চেন্নাইয়ের ব্যাটসম্যান অম্বাতি রাইডু। বিদায়ের আগে সবচেয়ে বেশিবার আইপিএল জয়ের কীর্তি গড়েছেন। ছুঁয়েছেন রোহিত শর্মাকে।
আইপিএলের ফাইনালে ২০০ বা তার চেয়ে বেশি রানের ইনিংস দেখা গেছে ছয়বার। প্রথমবার ২০১১ মৌসুমে করেছিল চেন্নাই সুপার কিংস, সর্বশেষ কাল করেছে গুজরাট টাইটানস। ফাইনালের দুই ইনিংসেই ২০০ রান হয়েছে ২০১৬ মৌসুমে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের দেওয়া ২০৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু থেমেছিল ঠিক ২০০ রানে।