দলকে জেতানোর পর গুজরাটের রাহুল তেওয়াতিয়া
দলকে জেতানোর পর গুজরাটের রাহুল তেওয়াতিয়া

আইপিএলে স্বল্প রানের ম্যাচে গুজরাটের জয়

এবারের আইপিএলে প্রথম ব্যাটিং করে দুই শ-আড়াই শ করেও নিরাপদে থাকতে পারছে না দলগুলো। রান তাড়া করা দলগুলোও যে ব্যাটিংয়ে আগুন ঝরাচ্ছে। আজ কলকাতায় কলকাতা নাইট রাইডার্সও যেমন ২২২ রান করেও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে জিতল মাত্র ১ রানে। সেই আইপিএলেই রোববারের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিং করে পাঞ্জাব কিংস অলআউট ১৪২ রানে।

মুল্লানপুরে ‘সামান্য’ এই রান তাড়া করে জিততে শেষ ওভার পর্যন্ত খেলতে হয়েছে গুজরাটকে, হারাতে হয়েছে ৭ উইকেট। অষ্টম ম্যাচে গুজরাট চতুর্থ জয়টা পেয়েছে ৫ বল হাতে রেখে ৩ উইকেটে।

রান তাড়ায় গুজরাটের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৬ রান রাহুল তেওয়াতিয়ার। ছয়ে নামা ব্যাটসম্যান ১৮ বলে ৩৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন। এ ছাড়া ২৯ বলে ৩৫ রান করেছেন অধিনায়ক শুবমান গিল। ৭ উইকেট হারালেও অবশ্য কখনোই মনে হয়নি ম্যাচটি হারতে পারে গুজরাট।

৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা সাই কিশোর (বাঁয়ে)

এর আগে টস জিতে ব্যাটিং নেওয়া পাঞ্জাব কোনো উইকেট না হারিয়ে তুলে ফেলেছিল ৫২ রান। অধিনায়ক স্যাম কারেন ও প্রভসিমারন সিংয়ের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে ষষ্ঠ ওভারের তৃতীয় বলে। ২১ বলে ৩৫ রান করে ফেরেন প্রভসিমরান। স্কোর কার্ডে এরপর ১৫ রান যোগ হতেই নেই রাইলি রুশো ও স্যাম কারেনও। ৭ বলে ৯ রান করা রুশোকে নুর আহমেদ ও ১৯ বলে ২০ রান করা কারেনকে এলবিডব্লু করেন রশিদ খান।

রানের গতি হারানো স্বাগতিকদের স্কোর ১০০ না হতেই নেই আরও ৪ উইকেট। সেখান থেকেই দলটির রান ১৪০ পেরোয় হারপিত ব্রারের ১২ বলের ২৯ রানের ইনিংসে। গুজরাটের বাঁহাতি স্পিনার সাই কিশোর ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট। আফগান লেগ স্পিনার রশিদ খান ১ উইকেট পেলেও ৪ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ১৫ রান। আরেক আফগান নুর বাঁহাতি রিস্ট স্পিনে ২ উইকেট নিতে ৪ ওভারে দিয়েছেন ২০ রান।