সেই মেলবোর্ন, সেই বিশ্বকাপেরই ফাইনাল আর প্রতিপক্ষও সেই ইংল্যান্ড। পাকিস্তান কি পারবে ’৯২ ফিরিয়ে আনতে?
প্রশ্নটা এখন পাকিস্তানের প্রত্যেক সমর্থকের মুখে মুখে। বাবর আজমের দল টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার পর ফিরে এসেছে ১৯৯২ বিশ্বকাপের প্রসঙ্গ। এবারের মতো সেবারও দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া অবস্থা থেকে ফাইনালে উঠেছিল ইমরান খানের পাকিস্তান।
ইংল্যান্ড পরশু ফাইনালে ওঠার পর সেই স্মৃতি যেন একেবারে খাপে খাপ মিলে গেল! ’৯২ বিশ্বকাপেও ফাইনালে এই ইংল্যান্ড ছিল পাকিস্তানের প্রতিপক্ষ। ২২ রানের জয়ে সেবার ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতে নিয়েছিল ইমরানের দল।
এবার? সেই তো বিশ্বকাপেরই মঞ্চ আর প্রতিপক্ষও ইংল্যান্ড—তাহলে? কাল ফাইনাল সামনে রেখে আজকের সংবাদ সম্মেলনে কোনো নিশ্চয়তা দেননি বাবর। তবে পাকিস্তানের অধিনায়ক জানালেন, ফাইনাল জিততে শতভাগ উজাড় করে দেবেন।
’৯২ বিশ্বকাপের প্রসঙ্গ নিয়ে জানতে চাইলে বাবর বলেছেন, ‘হ্যাঁ, (১৯৯২ বিশ্বকাপের সঙ্গে) মিল তো আছেই। আমরা ট্রফিটা জেতার চেষ্টা করব আর এই দলটার অধিনায়কত্ব করাও গর্বের, বিশেষ করে এমন একটা মাঠে (মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড)। ইনশা আল্লাহ আগামীকালের ম্যাচে আমরা নিজেদের শতভাগ উজাড় করে দেব।’
এমসিজির এই ফাইনালে বেশির ভাগ দর্শক পাকিস্তানের পক্ষে গলা ফাটাবেন বলে মনে করা হচ্ছে। অভিবাসী পাকিস্তানি সমর্থক তো আছেনই, এর পাশাপাশি ইংল্যান্ড যেহেতু ফাইনালে উঠেছে, তাই অস্ট্রেলিয়ানদের সমর্থনের পাল্লাটা পাকিস্তানের দিকেই বেশি ভারী হওয়ার কথা। এ ছাড়া পুরো টুর্নামেন্টেই অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন ভেন্যুতে অকুণ্ঠ সমর্থন পেয়ে এসেছে বাবর আজমের দল।
সমর্থকেরা কাল ফাইনালে কতটা ভূমিকা রাখতে পারেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে বাবর বললেন, ‘মাঠে দর্শকদের সমর্থন আমাদের আত্মবিশ্বাস দেয়। যেখানেই যাই না কেন, যে স্টেডিয়ামেই খেলি, পাকিস্তানকে সমর্থন সব সময়ই ভালো লাগে।’
সুপার টুয়েলভে প্রথম দুটি ম্যাচ হেরে সেমিফাইনালে ওঠার পথ খুব কঠিন করে ফেলেছিল পাকিস্তান। নির্ভর করতে হয়েছিল অন্য দলের ফলের ওপর। নেদারল্যান্ডস দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর পর ভাগ্যটা আবারও নিজেদের হাতে ফিরে পায় বাবরের দল।
নিজেদের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে হারিয়ে টিকিট কাটে ফাইনালের। তার আগে ভাগ্য যখন অন্য ম্যাচের ফলের ওপর নির্ভর করছিল, বাবর সে সময় কি সেমিফাইনালের আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন?
পাকিস্তান অধিনায়ক বোঝালেন, প্রথম দুই ম্যাচ হারের পর দল যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, সেটাই তাঁর কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, ‘প্রথম দুই ম্যাচ হারের মাশুল দিতে হয়েছিল। কিন্তু শেষ চার ম্যাচে দল যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, সেটা দুর্দান্ত। আমরা ভালো ক্রিকেট খেলেছি। ফাইনালেও তা ধরে রাখার চেষ্টা করব।’