আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী নীতিমালা ভাঙায় সব ধরনের ক্রিকেট থেকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন শ্রীলঙ্কার বাঁহাতি স্পিনার প্রবীণ জয়াবিক্রমা।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ও লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল) ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব গোপন করা এবং আরেকজন খেলোয়াড়কে প্রস্তাব দেওয়ার বিবরণ দিতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ ছিল জয়াবিক্রমার বিরুদ্ধে। এসবের পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে ফিক্সিং-বিষয়ক কথোপকথন মুছে ফেলার অভিযোগও ছিল।
গত আগস্টে জয়াবিক্রমার বিপক্ষে দুর্নীতির অভিযোগ আনে আইসিসি। তাঁর বিরুদ্ধে দুটি ধারা ভঙ্গের অভিযোগ এনেছিল আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী বিভাগ। এসব অভিযোগের জবাব দেওয়ার জন্য জয়াবিক্রমাকে ১৪ দিন সময় দিয়েছিল আইসিসি, যা শুরু হয় ৬ আগস্ট, শেষ হয় ২০ আগস্ট।
এই স্পিনার দুর্নীতিবিরোধী ২.৪.৭ ধারা ভাঙার কথা স্বীকার করেছেন; যে ধারায় বলা হয়েছে, ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়ে দ্রুত সেটি আইসিসিকে জানাতে ব্যর্থ হওয়া, তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজনীয় নথিপত্র গোপন, টেম্পারিং ও ধ্বংস করা। অর্থাৎ দুর্নীতিতে জড়ানোর প্রস্তাব যেসব বার্তার মাধ্যমে দেওয়া হয়েছিল, সেসব মুছে ফেলে দুর্নীতিবিরোধী বিভাগের অনুসন্ধানে ব্যাঘাত ঘটিয়েছেন ও বাধা সৃষ্টি করেছেন।
জয়াবিক্রমার মোট শাস্তি এক বছরের হলেও শেষ ছয় মাস স্থগিত করা হয়েছে।
শ্রীলঙ্কার হয়ে জয়াবিক্রমা সর্বশেষ টেস্ট খেলেছেন বাংলাদেশে, ২০২২ সালে মিরপুর টেস্টে। সর্বশেষ ম্যাচটিও খেলেছেন একই বছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।
২০২১ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে পাল্লেকেলে টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় জয়াবিক্রমার। শ্রীলঙ্কার হয়ে তিন সংস্করণেই ৫টি করে ম্যাচ খেলা এই স্পিনার নিয়েছেন ৩২ উইকেট। লঙ্কানদের ২০২২ এশিয়া কাপজয়ী দলের সদস্যও তিনি।
জয়াবিক্রমার বিরুদ্ধে এলপিএলের যে আসরে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে, সেই ২০২১ আসরে খেলেছেন জাফনা কিংসের হয়ে। শিরোপাজয়ী দলটির হয়ে যদিও খেলার সুযোগ পেয়েছেন মাত্র ১ ম্যাচ। এ বছরের এলপিএলে ডাম্বুলা সিক্সার্সের হয়ে খেলেছেন জয়াবিক্রমা।