ক্রিকেটের ‘বুড়ো মাতব্বর’দের এক হাত নিলেন সুনীল গাভাস্কার। সমালোচকেরা আইসিসির বর্তমান চেয়ারম্যান গ্রেগ বার্কলের সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তে জয় শাহর ‘কালো হাত’ খুঁজে বের করাতেই খেপেছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক। টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ১০ হাজার রান করা ভারতীয় ক্রিকেটার মনে করেন, জয় শাহকে অন্যায়ভাবে সমালোচনা করছেন নিন্দুকেরা।
এ মাসের শুরুতে গ্রেগ বার্কলে জানিয়ে দেন, চলতি মেয়াদ শেষে তিনি আর আইসিসির চেয়ারম্যান পদে থাকবেন না। যে মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৩০ নভেম্বর। কে হবেন তাঁর উত্তরসূরি? এই প্রশ্নের উত্তরে জয় শাহর নামটাই সবার আগে চলে আসে। আইসিসি বোর্ডের বেশির ভাগ সদস্যই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সেক্রেটারির পাশে আছেন, এমনটাই খবর। এ ছাড়া চেয়ারম্যান পদে এখন পর্যন্ত জয় শাহ ছাড়া সম্ভাব্য অন্য কোনো প্রার্থীর নামও শোনা যায়নি। আইসিসির চেয়ারম্যান পদে লড়ার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ আজই। তবে এখন পর্যন্ত জয় শাহ বা অন্য কেউ মনোনয়নপত্র জমা দেননি।
বার্কলে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেওয়ার পরপরই ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যমে প্রশ্ন তোলা হয়। তারা দাবি করে, বার্কলেকে আর নির্বাচন না করতে বিসিসিআইয়ের সেক্রেটারি জয় শাহ চাপ দিয়েছেন। এমন অভিযোগ মেনে নিতে পারছেন না গাভাস্কার।
এখন ধারাভাষ্যকক্ষে বেশির ভাগ সময় কাটানো ভারতীয় কিংবদন্তি স্পোর্টস্টারে লেখা নিজের কলামে সমালোচনা করেছেন জয় শাহর সমালোচকদের, ‘এটা অনুমিতই, জয় শাহই আইসিসির পরবর্তী সভাপতি হচ্ছেন। সে ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য যা করেছে, আমি মনে করি (ভবিষ্যতে) বিশ্বজুড়েই নারী-পুরুষনির্বিশেষে খেলোয়াড়েরা উপকৃত হবে। যখন গ্রেগ বার্কলে আর তৃতীয় মেয়াদে না থাকার সিদ্ধান্ত নিলেন, তখন পুরোনো মাতব্বরদের সংবাদমাধ্যম লিখল যে শাহ জোর করে বার্কলেকে এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে। সারা জীবন ঘ্যানঘ্যান করে আসাদের হঠাৎই মনে হলো, আরে বার্কলে তৃতীয় মেয়াদে না থাকলে তো আইসিসির সভায় তাদের নিজস্ব কোনো প্রতিনিধি থাকবে না।’
আইসিসিতে ক্ষমতা হারানোর ভয়েই এমনটা করা হচ্ছে বলে মনে করেন গাভাস্কার, ‘তাদের আপত্তির জায়গাটা কোথায়? যদি কিছুই না থেকে থাকে, তবে তো তারা অহেতুক জল ঘোলা করছে। এটাকেই বলা হয় টল পপি সিনড্রোম বা সফল ব্যক্তিদের চরিত্রে কালিমা লেপন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তারা আর ছড়ি ঘোরাতে পারবে না, এমন মনেই করেই তারা এ রকম করছে।’