সর্বশেষ বিশ্বকাপটা ১২ বছর আগে জিতেছে ভারত
সর্বশেষ বিশ্বকাপটা ১২ বছর আগে জিতেছে ভারত

বিশ্বকাপে ভারতই সবচেয়ে বেশি চাপে থাকবে

এক যুগ হয়ে গেছে ক্রিকেটে সর্বশেষ কোনো বিশ্বকাপ জিতেছে ভারত। ২০১১ সালের ঘরের মাঠেই ওয়ানডে বিশ্বকাপটা জিতেছিল ভারতীয়রা। মহেন্দ্র সিং ধোনির দল মুম্বাইয়ের ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে দ্বিতীয়বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ৫০ ওভারের ক্রিকেটে।

১২ বছর পর আবার ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফিরছে ভারতে। আগামী অক্টোবর-নভেম্বরের সেই বিশ্বকাপে কি অপেক্ষা ঘুচবে ভারতের? যদি ঘোচেও, কাজটা খুব সহজ হবে না রোহিত শর্মাদের। কেন, সেই প্রশ্নের উত্তরটা দিয়েছেন হারশেল গিবস। দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ব্যাটসম্যান বলেছেন, ঘরের মাঠের বিশ্বকাপ প্রত্যাশার চাপে পিষ্ট হতে পারেন রোহিত-কোহলিরা।

এবারের ওয়ানডে বিশ্বকাপে কারা ফেবারিট, এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েই ভারতের প্রসঙ্গ টেনেছেন গিবস, ‘ভারতই সবচেয়ে বেশি চাপে থাকবে। ওদের অনেক বড় বড় খেলোয়াড় আছে, যারা চাপের মুখে সত্যিই খুব ভালো খেলে। তবে আমি বলব এবারের বিশ্বকাপটা পুরোপুরি উন্মুক্ত। উপমহাদেশের কন্ডিশনে (নিয়মিত) খেলা দলের তো অভাব নেই। আমি মনে করি রোমাঞ্চকর একটি টুর্নামেন্ট হবে।’

দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ব্যাটসম্যান হারশেল গিবস

২০১১ সালে বিশ্বকাপ জয়ের পর ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতেছিল ভারত। ওই দুই প্রতিযোগিতাতেই ভারতের অধিনায়ক ছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। ধোনি অধিনায়ক ছিলেন ২০১৬ সালে ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও। ২০ ওভারের সেই বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছিল ভারত।

প্রত্যাশার চাপ নিয়ে গিবস কথা বলতেই পারেন। চাপে ভেঙে পড়ার অভিজ্ঞতা তো কম নেই তাঁর ও তাঁর দল দক্ষিণ আফ্রিকার। বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নদের তালিকায় যে এখনো দক্ষিণ আফ্রিকার নাম ওঠেনি, সেটির সবচেয়ে বড় কারণ তো ওই চাপের মুখে ভেঙে পড়াই। চ্যাম্পিয়ন তো দূরের কথা, কোনো বিশ্বকাপেই ফাইনালও খেলতে পারেনি ১৯৯১ সালে নির্বাসন কাটিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরে প্রোটিয়ারা। ‘চোকার্স’—নেতিবাচক এই শব্দটা তো পাকাপাকিভাবেই বসে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের পাশে।

আমি সব সময়ই বলে এসেছি আমাদের দরকার ছিল ফাইনালে ওঠা। সেমিফাইনালের কথা ভুলে যান, আমাদের দরকার ফাইনালে জায়গা করে নেওয়া। আমরা যেদিন ফাইনাল উঠতে পারব, সেদিনই হয়তো বিশ্বকাপ জিতব।
হারশেল গিবস, সাবেক ক্রিকেটার, দক্ষিণ আফ্রিকা

বারবার চাপের মুখে ভেঙে পড়ে বিশ্বকাপ স্বপ্ন বিসর্জন দেওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা দলে লম্বা সময় অপরিহার্য ছিলেন গিবস। সেই গিবস বললেন, একবার ফাইনালে উঠতে পারলেই হয়তো বদলে যেত সবকিছু, ‘আমি সব সময়ই বলে এসেছি আমাদের দরকার ছিল ফাইনালে ওঠা। সেমিফাইনালের কথা ভুলে যান, আমাদের দরকার ফাইনালে জায়গা করে নেওয়া। আমরা যেদিন ফাইনাল উঠতে পারব, সেদিনই হয়তো বিশ্বকাপ জিতব।’

গিবস এই মুহূর্তে কাজ করছেন জিম্বাবুয়েতে অনুষ্ঠানরত টি-টেন লিগের দল জোবার্গ বাফেলোসে প্রধান কোচ হিসেবে।