বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান, সময়ের অন্যতম সেরা দুই ব্যাটসম্যান। সম্প্রতি ব্যাট হাতে তাঁরা নিজেরা যেমন সাফল্যে ভেসেছেন, তেমনি সাফল্য এনে দিয়েছেন পাকিস্তানকেও। কিন্তু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দুজনকে নিয়েই আছে সমালোচনা।
অনেকে তো এমনও বলেন, টি-টোয়েন্টিতে বাবর আর রিজওয়ান একটু বেমানানই। সমালোচকেরা এটা বলেন অন্যদের তুলনায় তাঁদের স্ট্রাইক রেট একটু কম বলে। কেউ কেউ আবার বাবরের অধিনায়কত্ব নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মাঝেমধ্যে।
কিন্তু পাকিস্তান দলে এ দুজনের গুরুত্ব কতটা, সেটা যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখাল আফগানিস্তানের বিপক্ষে চলমান টি-টোয়েন্টি সিরিজটি। আরও কয়েকজনের সঙ্গে এই সিরিজে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে বাবর ও রিজওয়ানকে। আফগানদের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচে যেটা ঘটল, এতে স্পষ্ট যে এ দুজন ছাড়া পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ যেন ‘তাসের ঘর’!
শারজায় প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আগে ব্যাটিং করে পাকিস্তান ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে তুলতে পেরেছে মাত্র ৯২ রান। একই ভেন্যুতে কাল দ্বিতীয় ম্যাচে উঠেছে আরেকটু বেশি—২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩০ রান।
এমন ব্যাটিংয়ের খেসারত পাকিস্তান দিয়েছে প্রথম দুই ম্যাচ হেরে সিরিজ খুইয়ে। তিন ম্যাচের সিরিজ ২-০–তে এগিয়ে থেকে নিশ্চিত করে ফেলেছে আফগানরা। পাকিস্তান প্রথম ম্যাচটি হারার পর দলটির সাবেক ক্রিকেটাররা এই সিরিজের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক শাদাবকে ধুয়ে দিয়েছিলেন।
শাদাব অবশ্য নিজের সমালোচনার কোনো জবাব দেননি। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি হারার পর সংবাদ সম্মেলনে তিনি জবাব দিয়েছেন বাবর-রিজওয়ানের সমালোচকদের। শাদাব বলেছেন, ‘বাবর ও রিজওয়ান ভালো খেলুক বা খারাপ খেলুক, মানুষ তাদের সমালোচনা করে। স্ট্রাইক রেট নিয়ে তাদের ঘাড়ের ওপর সব সময় খড়্গ থাকে।’
শাদাব এরপর যোগ করেন, ‘আমরা চাই, পিএসএলে ভালো খেলা তরুণেরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আসুক। কিন্তু পাকিস্তানের মানুষ অবশেষে বুঝবে যে অভিজ্ঞতা একটা ব্যাপার। পারফরম্যান্স বিবেচনায় আমাদের সিনিয়র খেলোয়াড়েরা প্রাপ্য শ্রদ্ধা পায়নি। আশা করছি, এই সিরিজের পর মানুষ তাদের আরও বেশ শ্রদ্ধা করবে।’