সুপার ওভারে বাংলাদেশকে জেতানোর পর নিগার সুলতানা, মিরপুরে পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে
সুপার ওভারে বাংলাদেশকে জেতানোর পর নিগার সুলতানা, মিরপুরে পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে

ম্যাচ টাই, সুপার ওভারের শেষ বলে নিগারের চারে বাংলাদেশের জয়

মিরপুরে সিরিজের দ্বিতীয় নারী ওয়ানডে টাই হওয়ার পর সুপার ওভারের শেষ বলে চার মেরে বাংলাদেশকে জিতিয়েছেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা। সুপার ওভারে পাকিস্তান তুলেছিল ৭ রান, জবাবে প্রথম ৪ বলে ৬ রান তোলার পর পঞ্চম বলে সোবহানা মোস্তারির উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শেষ বলে দরকার ছিল ২ রান, নাশরা সান্ধুর সে বলে মিড অনের ওপর দিয়ে চার মেরে বাংলাদেশকে উল্লাসে ভাসান অধিনায়ক নিগার। এ জয়ে ৩ ম্যাচ সিরিজে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ।

ম্যাচে ৫০ ওভারে বাংলাদেশ তুলেছিল ৯ উইকেটে ১৬৯ রান। রান তাড়ায় ৬ উইকেটে ১৫৩ রান তুলে ফেলেছিল পাকিস্তান, এরপর শেষ ৩ ওভারে ৩ উইকেট হারায় তারা। ১ বল বাকি থাকতে ১৬৯ রানেই সফরকারীরা অলআউট হয়ে গেলে ম্যাচ টাই হয়। এর আগে গত জুলাইয়ে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ওয়ানডে টাই হয়েছিল। যদিও সময় ছিল না বলে সেবার সুপার ওভার হয়নি।

মিরপুরের ধীরগতির ও নিচু উইকেটে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ ১৬৯ রান পর্যন্ত যায় উদ্বোধনী ব্যাটার ফারজানা হকের ৮৮ বলে ৪০ ও চারে নামা নিগারের ১০৪ বলে ৫৪ রানের ইনিংসে। তৃতীয় উইকেটে এ দুজন তোলেন ৪৯ রান, ইনিংসে সেটিই সর্বোচ্চ। বাংলাদেশের প্রথম পাঁচ ব্যাটারের সবাই দুই অঙ্ক ছুঁলেও শেষ ছয় ব্যাটারের কেউই তা পারেননি। পাকিস্তানের ৬ বোলারের ৫ জনই নেন উইকেট, সর্বোচ্চ দুটি করে নেন সাদিয়া ইকবাল ও সান্ধু।

ম্যাচ টাই হওয়ার পর নিগারের উল্লাস

পাকিস্তানের আবার আট ব্যাটারই দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন, কিন্তু সর্বোচ্চ ইনিংসটি অধিনায়ক নিদা দারের ২৭ রান। অবশ্য ৪২.২ ওভারে ৫ উইকেটে ১২৮ রান তোলা পাকিস্তান বেশ স্বস্তিতেই ছিল। এরপর থেকেই পথ হারানোর শুরু তাদের। শেষ ২৪ বলে তাদের প্রয়োজন ছিল ২৩ রান। ৪৭তম ওভারে নাহিদ আক্তার নেন নাজিহা আলভির উইকেট। পাকিস্তানের শেষ ৩ ব্যাটারই হন রানআউট। নাহিদার শেষ ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৩ রান, প্রথম ৪ বলে ২ রান নেওয়ার পর পঞ্চম বলে রানআউট হন সান্ধু।

সুপার ওভারেও বোলিংয়ে আসেন নাহিদা, তাঁর প্রথম বলেই বোল্ড হন ইরাম জাভেদ। পরের ৩ বলে ৭ রান উঠলেও পঞ্চম বলে বিসমাহ মারুফের রানআউটে শেষ হয় তাদের সুপার ওভারের ইনিংস। ৮ রানের লক্ষ্যে সোবহানার সঙ্গে স্বর্ণা আক্তারকে পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ। সব গিয়ে ঠেকে ওই শেষ বলে। পাকিস্তান সে বলটি করতে সময় নেয় বেশ খানিকটা, কিন্তু তাতেও মনঃসংযোগে ব্যাঘাত ঘটেনি নিগারের। ম্যাচসেরাও হয়েছেন বাংলাদশ অধিনায়কই।