রাজকোটে দাপুটে এক দিনে ইংল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে দিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেছে ভারত। যে ম্যাচে দেখা গেছে বেশ কিছু রেকর্ড—
রানের হিসাবে ভারতের বৃহত্তম জয়। আগের সর্বোচ্চ ছিল ২০২১ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়াংখেড়েতে। ভারত সেবার জিতেছিল ৩৭২ রানে।
রান তাড়া করতে নেমে এর চেয়ে বেশি ব্যবধানে ইংল্যান্ড হেরেছে মাত্র একবার—১৯৩৪ সালে ওভালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে। সেবার ৭০৮ রানের লক্ষ্যে ১৪৫ রানে অলআউট হয়েছিল ইংলিশরা।
টেস্টের এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ছক্কায় ওয়াসিম আকরামের রেকর্ডে ভাগ বসালেন যশস্বী জয়সোয়াল। ভারতের হয়ে আগের রেকর্ডটি ছিল যৌথভাবে নভজোত সিং সিধু (১৯৯৪ সালে লক্ষ্ণৌয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে) ও মায়াঙ্ক আগারওয়ালের (২০১৯ সালে ইন্দোরে বাংলাদেশের বিপক্ষে)। দুজনই মেরেছিলেন ৮টি করে ছক্কা।
সিরিজে জয়সোয়ালের ছক্কা। দুই টেস্ট হাতে রেখেই এক সিরিজে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন জয়সোয়াল। আগের রেকর্ডটাও এক ভারতীয়র। ২০১৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজে ১৯টি ছক্কা মেরেছিলেন রোহিত শর্মা।
ভারতও দলীয় ছক্কার নতুন রেকর্ড গড়েছে। রাজকোটে তারা মেরেছে ২৮টি ছক্কা। আগের সর্বোচ্চ ছিল তাদেরই, ২০১৯ সালে বিশাখাপট্টনমে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তারা মেরেছিল ২৭টি ছক্কা।
দুটি ম্যাচ এখনো বাকি, তবে সিরিজের ছক্কার সংখ্যায় ভারতের রেকর্ড হয়ে গেছে। এ সিরিজে এখন পর্যন্ত তাদের ছক্কা ৪৮টি। এখানেও আগের রেকর্ড ছিল তাদের, ২০১৯ সালের ওই সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩ ম্যাচে তারা মেরেছিল ৪৭টি ছক্কা।
ক্যারিয়ারের সপ্তম টেস্টে তিনটি ডাবল সেঞ্চুরি করলেন জয়সোয়াল। রাজকোট টেস্ট শুরুর দিন তাঁর বয়স ছিল ২২ বছর ৪৯ দিন। তাঁর চেয়ে কম বয়সে দুটি ডাবল সেঞ্চুরি আছে শুধু বিনোদ কাম্বলি (২১ বছর ৫৪ দিন) ও ডন ব্র্যাডম্যানের (২১ বছর ৩১৮ দিন)।
২১৪ রানের ইনিংসে জয়সোয়ালের স্ট্রাইক রেট। ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের মধ্যে এর চেয়ে বেশি স্ট্রাইক রেটের ডাবল সেঞ্চুরি ইনিংস আছে ৩টি। ৩টিই ১০০-এর ওপর স্ট্রাইক রেট, ৩টিই খেলেছিলেন বীরেন্দর শেবাগ।
জয়সোয়াল ও সরফরাজ খানের জুটির রান রেট। কমপক্ষে ১৫০ রান উঠেছে, এমন জুটিতে ভারতের যা সর্বোচ্চ। আগের সর্বোচ্চ ছিল ৫.৮৬। ২০১৮ সালে বেঙ্গালুরুতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুজন ১৬৮ রান যোগ করেছিলেন ওভারপ্রতি ৫.৮৬ রান তুলে।
প্রথম ইনিংসে ৪৪৫ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ৪৩০ রান তুলেছে ভারত। নিজেদের ইতিহাসে মাত্র তৃতীয়বার এক ম্যাচে দুবার ৪০০ পেরোল দলটি। আগের দুটি ঘটনা ছিল ২০০৫ সালে কলকাতায় পাকিস্তান ও ২০০৯ সালে আহমেদাবাদে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।
ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বার একই টেস্টে সেঞ্চুরি ও ৫ উইকেটের দেখা পেলেন জাদেজা।