ব্যাটিং অর্ডারে ‘পদোন্নতি’ পেয়েছিলেন। প্রথম ম্যাচে ৪ নম্বরে নামা তাওহিদ হৃদয় লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগে আজ দ্বিতীয় ম্যাচে ক্রিজে ব্যাট করতে আসেন ৩ নম্বরে। শুরুটা করেছিলেন দুর্দান্ত, তবে ইনিংসটা বড় করতে পারেননি বাংলাদেশের এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।
হৃদয় যেমন বড় রান করতে পারেননি, তেমনি তাঁর দল জাফনাও পায়নি বড় সংগ্রহ। আগে ব্যাটিং করে ২০ ওভারে মাত্র ১২৯ রান তুলেছিল জাফনা। তাড়া করতে নেমে ২২ বল আর ৮ উইকেট হাতে রেখেই জিতেছে ডাম্বুলা। এবারের আসরে এটি ডাম্বুলার প্রথম জয়।
১২৯ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম উইকেট জুটিতেই ৭৬ রান তোলেন ডাম্বুলার দুই ওপেনার কুশল মেন্ডিস ও আভিস্কা ফার্নান্ডো। মূলত জাফনার জয়ের স্বপ্ন সেখানেই শেষ হয়ে যায়। কুশল মেন্ডিস ২৯ রানে আউট হন। আরেক ওপেনার ফার্নান্ডো করেন ৫২ রান। শেষ দিকে কুশল পেরেরার ২২ বলে ৩৪ রানের ইনিংসে সহজ জয় পায় ডাম্বুলা।
প্রথম ম্যাচে জাফনার ২১ রানের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন হৃদয়। চামিকা করুনারত্নের বলে নাসিম শাহকে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৩৯ বলে ৪টি চার ও ১টি ছয়ে হৃদয় করেন ৫৪ রান।
জাফনার পক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ছিল এটাই। আজও যেভাবে নিজের ইনিংসটা শুরু করেছিলেন হৃদয়, তাতেও ছিল বড় ইনিংস খেলার ইঙ্গিত। প্রথম ৭ বলে ১৩ রান করেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। তবে পরে আফগান স্পিনার নুর আহমেদ ও শ্রীলঙ্কান স্পিনার ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার বল সাবলীলভাবে খেলতে পারছিলেন না তিনি।
স্ট্রাইক রোটেশনে সমস্যা হওয়ায় প্রিয় শট স্লগ সুইপের দিকে ঝোঁকেন হৃদয়। ধনাঞ্জয়ার সেই বলটা ঠিকঠাকভাবে টাইমিংও হয়েছিল, তবে গ্যাপ খুঁজে পাননি এই ব্যাটসম্যান। মিডউইকেটে ধরা পড়েন অ্যালেক্স রসের কাছে। তাতে ২০ বলে ২৪ রানেই শেষ হয় হৃদয়ের ইনিংস। দলের অন্য ব্যাটসম্যানরাও নিজেদের সেরাটা দিতে পারেননি। ডেভিড মিলার, থিসারা পেরেরারা ব্যর্থ হলে দলের রান দাঁড়ায় মাত্র ১২৯–এ।