টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটা তেমন ভালো যায়নি সাকিব আল হাসানের। সিনিয়র খেলোয়াড়দের এ রকম খারাপ সময় গেলে তাঁদের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন ওঠাটা অস্বাভাবিক নয়। যদিও একজন ক্রিকেটার কখন অবসর নেবেন বা আদৌ আনুষ্ঠানিক অবসরের ঘোষণা দেবেন কি না, সেটা একান্তই তাঁর সিদ্ধান্ত।
তবু আজ লস অ্যাঞ্জেলেস নাইট রাইডার্সের হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ ক্রিকেট খেলতে যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলতে হয়েছে সাকিবকে। সাকিব হেসে বলেছেন, ক্যারিয়ারের ভবিষ্যৎ নিয়ে আপাতত তাঁর দীর্ঘমেয়াদি কোনো পরিকল্পনা নেই। তিনি এগোতে চান তিন মাস, ছয় মাসের পরিকল্পনা নিয়ে।
সাকিব বলেছেন, ‘আপাতত পরিকল্পনা, সামনে থাকা দুইটা টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে খেলা। একটা এমএলসি, যেটা খেলতে এখন যাচ্ছি। এরপর কানাডায় গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি আছে। এই দুটি টুর্নামেন্ট খেলি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আছে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ। আপাতত এটুকুই। এর বেশি পরিকল্পনা করিনি।’
সাকিব বলেছেন, বড় পরিকল্পনায় যাওয়ার আগে তাঁর নিজের অবস্থাটা বোঝার দরকার আছে। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার টি-টোয়েন্টি সিরিজ দুটি তাঁকে সেই সুযোগ করে দিচ্ছে। তবে ক্যারিয়ারের শেষ লগ্নে এসে দীর্ঘ সময়ের জন্য পরিকল্পনা না করাই ভালো বলে মনে করেন তিনি, ‘এখন ও রকম সময় নেই যে তিন-চার বছরের পরিকল্পনা করব। তিন মাস, ছয় মাসের পরিকল্পনা করাটাই ভালো। পরবর্তী পরিকল্পনা এরপর। আপাতত পাকিস্তান সিরিজ পর্যন্তই পরিকল্পনা।’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স নিয়ে হতাশা আছে সাকিবেরও। টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ দলের যে জায়গায় যাওয়া উচিত ছিল, বাংলাদেশ সে পর্যন্ত যেতে পারেনি বলেই মনে করেন তিনি। কেন যেতে পারেনি, এমন প্রশ্নে তাঁর উত্তর, ‘এটা বলা মুশকিল। যাঁরা নীতিনির্ধারক আছেন, তাঁরা ভালো বলতে পারবেন। কোচ, অধিনায়ক, দলের যাঁরা আরও অংশ আছেন, সঙ্গে ক্রিকেট অপারেশনস, বোর্ড সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেবেন। তাঁরা আলাপ-আলোচনা করে বুঝতে পারবেন, কোথায় কিসের ঘাটতি ছিল।’