১৯৯৫ সালের পর অস্ট্রেলিয়ায় খেলা ১৪টি টেস্টেই হার—এই ইতিহাস সঙ্গী করেই এবার অস্ট্রেলিয়া গেছে পাকিস্তান। পার্থ টেস্টটা চার দিনের মধ্যেই ৩৬০ রানে হেরে সংখ্যাটাকে টানা ১৫ বানিয়ে ফেলল পাকিস্তানিরা।
৫ উইকেটে ২৩৩ রান তুলে আজ দ্বিতীয় ইনিংসটা ঘোষণা দেয় অস্ট্রেলিয়া। আর তাতেই ৪৫০ রানের বিশাল লক্ষ্যের সামনে পড়ে যায় পাকিস্তান। চতুর্থ ইনিংসে অত রান করে কখনো টেস্ট জেতেনি কোনো দল। পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসটা তাই হয়ে যায় ইতিহাস গড়ার উপলক্ষ।
তবে চাইলেই তো ইতিহাস গড় যায় না! বরং চাপে পিষ্ট হয়ে ৩০.২ ওভারেই ৮৯ রান তুলতেই অলআউট শান মাসুদের দল। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এটি পাকিস্তানের পঞ্চম সর্বনিম্ন টেস্ট স্কোর।
প্রথম ওভারেই উইকেট হারানো পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ২৪ রান করেছেন সৌদ শাকিল। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন দুই পেসার মিচেল স্টার্ক ও জশ হ্যাজলউড। ২ উইকেট নাথান লায়নের, যার প্রথমটি নিয়েই ইতিহাসের অষ্টম বোলার হিসেবে টেস্টে ৫০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন এই অফ স্পিনার।
২ উইকেটে ৮৪ রান নিয়ে দিন শুরু করা অস্ট্রেলিয়া আরও ১৪৯ রান যোগ করে দ্বিতীয় সেশনে ইনিংস ঘোষণা করে। ব্যাটিংয়ে নেমেই প্রথম ওভারে ফিরে যান আবদুল্লাহ শফিক। মিচেল স্টার্কের অফ স্টাম্প বরাবর করা বলটি শফিকের ব্যাটে চুমো খেয়ে আশ্রয় নেয় উইকেটকিপার অ্যালেক্স ক্যারির গ্লাভসে। ষষ্ঠ ওভারে আবার বল জমে যায় ক্যারির গ্লাভসে। এবার আউট শান মাসুদ। পাকিস্তান অধিনায়ক অকারণে খোঁচা দিয়ে বিপদ ডেকে আনেন। শফিকের মতো ২ রানে ফিরেছেন মাসুদও।
এক ওভার পর স্টার্কের বলে ইমাম-উল-হক যখন এলবিডব্লু হলেন পাকিস্তানের রান ৩ উইকেটে ১৯। পাকিস্তান ইনিংসে সবচেয়ে বড় জুটিটা পায় এরপরই। সাবেক অধিনায়ক বাবর আজম সৌদি শাকিলকে নিয়ে চতুর্থ উইকেটে যোগ করেন ২৯ রান।
বাবর ফিরে যান চা বিরতির আগেই ব্যক্তিগত ১০ রানে। অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের লাফিয়ে ওঠা বলটি বাবরের ব্যাটের ওপরে কানায় লেগে চলে যায় ক্যারির কাছে। ব্যাটিংয়ে মূল স্তম্ভকে হারিয়ে ফেলার পাকিস্তান চা বিরতিতে যায় ৪ উইকেটে ৫৩ রান নিয়ে।
চা খেয়ে ফেরার পর এক ঘণ্টাও টেকেনি পাকিস্তান। আর ১৩.২ ওভারের মধ্যেই শেষ ৬ উইকেট খোয়ায় দলটি। এ সময়েই ফাহিম আশরাফকে এলবিডব্লু করে টেস্টে ৫০০ উইকেটের ক্লাবের টিকিট পেয়ে যান লায়ন।
এরপর বাকি ৩ উইকেট নিতেও বেশি সময় নেননি অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা।