বিরাট কোহলি নিঃসন্দেহে সময়ের সেরাদের একজন। কারও কাছে তো তিনি সর্বকালের সেরাও। যাঁরা কোহলিকে সর্বকালের সেরা মানেন, তাঁদের যুক্তিও ফেলনা নয়। ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ৫০ শতকের মালিক কোহলি। টেস্টে তাঁর শতক ২৯টি, টি-টোয়েন্টিতে ১টি। এমন অবিশ্বাস্য সব সংখ্যার জন্ম দেওয়া কোহলির আরও একটি চমৎকার ব্যাপার আছে, সেটা খেলার প্রতি তাঁর নিবেদন। কোহলি সম্পর্কে কথা বলতে গেলে কোহলির এই নিবেদনের প্রসঙ্গও চলে আসে।
কোহলির নিবেদনকে কতটা গুরুত্বের সঙ্গে দেখেন সবাই, তার একটা ধারণা পাওয়া যাবে কিংবদন্তি ব্রায়ান লারার কথা শুনলে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক এই ক্রিকেটার বলেছেন, তাঁর ছেলে খেলাধুলায় আসতে চাইলে তিনি কোহলির কাছ থেকে অনুপ্রেরণা নিতে বলবেন।
কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানে লারা বলেছেন, ‘আমার ছেলে আছে। আমি বলতে পারি, যদি সে খেলাধুলায় আসতে চায়, আমি কোহলির নিবেদন ও পরিশ্রমকে উদাহরণ হিসেবে টানব। সেটা শুধু তাঁর শক্তিমত্তা বাড়াতে নয়; বরং ১ নম্বর খেলোয়াড় হওয়ার জন্য।’
সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপে বেশ কয়েকটি রেকর্ড গড়েছেন কোহলি। টুর্নামেন্ট–সেরার স্বীকৃতি পাওয়ার পথে এক বিশ্বকাপ আসরে সর্বোচ্চ ৭৬৫ রান করেছেন। শচীন টেন্ডুলকারের দুই যুগের বেশি সময় স্থায়ী সর্বোচ্চ ৪৯ শতকের রেকর্ডও ভেঙেছেন।
তবে ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ভারত হেরে যাওয়ায় একরাশ হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে কোহলিকে। বিশ্বকাপ জিততে না পারায় অনেকে তো তাঁর এই বিশ্বকাপ পারফরম্যান্সকেও বড় করে দেখতে রাজি নন। বলতে চাইছেন, যার জন্য এমন পারফরম্যান্স করতে চেয়েছেন কোহলি, সেই কাঙ্ক্ষিত বিশ্বকাপও তো জেতা হলো না।
তবে লারার ভাবনাটা ভিন্ন। ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তির মতে, দলীয় খেলাতেও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স গুরুত্বপূর্ণ, ‘আমি জানি, অনেকেই বলবেন বা ইতিমধ্যেই বলেছেন, ভারত বিশ্বকাপ না জেতায় কোহলির এমন কীর্তি তেমন কোনো বিষয় নয়। জিততে হয় দল হিসেবে, আর একজন খেলোয়াড় হিসেবে সেটাই ১ নম্বর লক্ষ্য হওয়া উচিত। কিন্তু দলগত সাফল্যে পেতে সহায়তা করে ব্যক্তিগত সাফল্য। যেটা বিশ্বকাপে কোহলি ম্যাচের পর ম্যাচ করে দেখিয়েছেন।’
বিশ্বকাপ শেষে কোহলি এখন অবসর সময় কাটাচ্ছেন। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি থেকেও বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে তাঁকে। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টেস্ট দিয়ে মাঠে ফিরবেন এই তারকা।