মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকা হেরেছিল চার দিনে। সেই অর্থে কোনো লড়াই করতে পারেনি প্রোটিয়ারা। তবে একজন ছিলেন ব্যতিক্রম। তিনি ডেভিড বেডিংহাম। প্রথম ইনিংসে ৩২ রান করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে করেছিলেন ৮৭।
হ্যামিল্টন টেস্টেও সেই বেডিংহামই দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে লড়লেন। টেস্ট ক্যারিয়ারে তাঁর প্রথম শতকে (১১০) নিউজিল্যান্ডকে ২৬৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ১ উইকেট হারিয়ে ৪০ রান করে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে নিউজিল্যান্ড। হ্যামিল্টনের সেডন পার্কে চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ ২১২ রান তাড়া করে জয়ের কীর্তি অস্ট্রেলিয়ার। ২৪ বছর আগে স্বাগতিকদের হারিয়েই ম্যাচটি জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া।
সেডন পার্কে গতকাল নিউজিল্যান্ড ২১১ রানে অলআউট হওয়ার পরই দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ হয়। ৩১ রানের লিড নিয়ে তৃতীয় দিনে ব্যাটিং শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই ইনিংসেও তাদের শুরুটা হয় নড়বড়ে।
৩৯ রান করতেই হারায় ৩ উইকেট। যার মধ্যে একটি অধিনায়ক ব্র্যান্ডের, দলীয় ৩৯ রানের সময় তিনি আউট হন ৩৪ রান করে। পাঁচ নম্বরে ক্রিজে আসা বেডিংহাম যুবায়ের হামজার সঙ্গে ৬৫ রানের জুটি গড়েন। ১৭ রান করে হামজা আউট হওয়ার পর বেডিংহাম ৯৮ রানের জুটি গড়েন কিগান পিটারসেনের সঙ্গে। মূলত এই জুটিই দক্ষিণ আফ্রিকাকে ভালো লিড এনে দেয়।
লিডটা আরও বড় হতে পারত। তবে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৩ রানে শেষ ৬ উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। মূলত এই ব্যাটিং ধসের কারণেই ম্যাচে ফিরতে পেরেছে নিউজিল্যান্ড। আর সেটা অভিষিক্ত পেসার ও’রুর্কের কল্যাণে। প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নেওয়ার পর অভিষিক্ত ও’রুর্ক দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছেন ৫ উইকেট।
২৬৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে বিনা উইকেটে ৪০ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। তবে দিনের একেবারে শেষদিকে ড্যান পিটের বলে ফেরেন ডেভন কনওয়ে। তাঁর আউটের পর দিনের খেলা শেষ ঘোষণা করা হয়। ১৭ রানে আউট হওয়া কনওয়ের টেস্টে সর্বশেষ ৭ ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ২৯। তাঁর উইকেটটি নেওয়া পিট ৫ বছর পর টেস্ট দলে ফিরে ভালোই করছেন। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেন এই স্পিনার।
দক্ষিণ আফ্রিকা : ২৪২ ও ৬৯.৫ ওভারে ২৩৫
(বেডিংহাম ১১০, পিটারসেন ৪৩, ব্র্যান্ড ৩৪, হামজা ১৭; ও’রুর্ক ১৩.৫–৪–৩৪–৫, ফিলিপস ১৫–৩–৫০–২, হেনরি ১১–৫–১৫–১, ওয়াগনার ৮–১–৪২–১, রবীন্দ্র ১৩–১–৫০–১)।
নিউজিল্যান্ড : ২১১ ও ১৩.৫ ওভারে ৪০/১
(ল্যাথাম ২১*, কনওয়ে ১৭; পিট ৩.৫–১–৩–১, মোরেকি ৫–২–১৫–০, প্যাটারসন ৫–১–২০–০)।
* ৩য় দিন শেষে