এশিয়া কাপে একের পর এক ভ্রমণের মধ্যে থাকতে হবে বাংলাদেশ দলকে
এশিয়া কাপে একের পর এক ভ্রমণের মধ্যে থাকতে হবে বাংলাদেশ দলকে

ভ্রমণঝক্কির সূচি না মেনে উপায় নেই বিসিবির

শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানে অনুষ্ঠেয় এবারের এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বের দুটি ম্যাচ বাংলাদেশকে খেলতে হবে দুই দেশে, সেটাও মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে! যার মধ্যে এক দিন চলে যাবে ভ্রমণে। সুপার ফোরে উঠলে সেখানেও দুই দিনের ব্যবধানে দুটি ভিন্ন দেশে খেলতে হবে বাংলাদেশকে। অথচ দুই দেশে দুই ম্যাচ খেলার প্রস্তাবে বিসিবি এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলকে (এসিসি) শর্তই দিয়েছিল যে এক দেশ থেকে আরেক দেশে গিয়ে ম্যাচ খেলার আগে পর্যাপ্ত বিরতি থাকতে হবে।

কিন্তু এশিয়া কাপের সূচিতে এর প্রতিফলন নেই। এ নিয়ে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুসকে আজ কিছুটা হতাশই মনে হলো। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলছিলেন, ‘আমাদের প্রথম ম্যাচটা খেলে লাহোরে যেতে হবে। কিছু করার নেই। ৩১ তারিখের পর ৩ তারিখে আরেকটা ম্যাচ। জার্নি যাতে কমফোর্টেবল হয়, এ জন্য এসিসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলগুলো আসা-যাওয়া করবে চার্টার্ড প্লেনে।’

তবু ভ্রমণের ধকল তো থাকবেই। সেটা মানছেন জালাল ইউনুসও। কিন্তু ভ্রমণের ক্লান্তি এড়ানোর কোনো উপায় তিনি খুঁজে পাচ্ছেন না, ‘ট্রাভেলে তো ইমপ্যাক্ট হয়ই। এয়ারে ট্রাভেল করলে ২-৩ ঘণ্টা আগে যেতে হয়, লাগেজ নিয়ে যেতে হয়। মানসিক প্রস্তুতিরও ব্যাপার আছে। আর শ্রীলঙ্কা থেকে পাকিস্তান অনেক দূরে। যেহেতু এসিসির সিদ্ধান্ত আর সবাই অংশ নিচ্ছে...আমাদেরও মেনে নিতে হচ্ছে।’

বিষয়টা মেনে নিচ্ছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররাও। এশিয়া কাপের সূচি নিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘এই চাপটা ভারত ছাড়া অন্য সব দলকেই সামলাতে হবে। যেহেতু সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে, আমাদের মেনে নেওয়াই ভালো। পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে আমরা এমন সূচির সঙ্গে একেবারেই পরিচিত নই, তা তো নয়। মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। এ ছাড়া উপায় নেই।’

অবশ্য ভিন্ন মতও আছে। জাতীয় দলের আরেক ক্রিকেটার বিষয়টিকে দেখছেন এভাবে, ‘ওয়ানডে ম্যাচ হওয়ায় একটু কঠিন হবে। টি-টোয়েন্টি হলে আমার মনে হয় না কেউ অভিযোগ করত। একটা এক শ ওভারের ম্যাচ খেলার পর সবাইকেই সে ধকল কাটিয়ে উঠতে হয়।’