রান তাড়ায় ফিফটি পেয়েছেন তানজিদ
রান তাড়ায় ফিফটি পেয়েছেন তানজিদ

সান্ত্বনার জয়ে ধবলধোলাই এড়াল বাংলাদেশ

ছন্দে ফিরতে একটু দেরিই হয়ে গেল বাংলাদেশ দলের। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ হেরেই সিরিজ খুইয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ। তবে আজ শনিবার শেষ ম্যাচে এসে নাজমুল হোসেনের দল পেল সান্ত্বনার এক জয়, তাতে এড়ানো গেল ধবলধোলাইয়ের লজ্জাও।

জয়টা এসেছে মূলত বোলারদের সৌজন্যে। হিউস্টনের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সের আগের দুই ম্যাচের ব্যবহৃত উইকেটে আজ যুক্তরাষ্ট্রকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। সেই উইকেটের সুবিধা নিয়ে মোস্তাফিজুর রহমান মাত্র ১০ রান দিয়ে নিয়েছেন ৬ উইকেট। টেনেটুনে যুক্তরাষ্ট্র ৯ উইকেটে করে ১০৪ রান। ছোট্ট লক্ষ্য কোনো উইকেট না হারিয়েই টপকে যায় বাংলাদেশ। তানজিদ হাসান ও সৌম্য সরকারের ১০৮ রানের জুটিতে ১১.৪ ওভারেই ১০ উইকেটের সহজ জয় পায় বাংলাদেশ। টি–টোয়েন্টিতে এই প্রথম ১০ উইকেটে জিতল বাংলাদেশ।

রান তাড়ায় বাংলাদেশ এই সিরিজের সেরা পাওয়ারপ্লে ব্যাটিং করেছে। দুই বাঁহাতি তানজিদ ও সৌম্য কোনোরকম ঝুঁকি ছাড়াই যোগ করেছেন ৪৮ রান। ২১ বলে ২৭ রান করে তাতে এগিয়ে ছিলেন তানজিদই। প্রথম ৬ ওভারের পর রানের গতি বাড়িয়েছেন সৌম্য। চার-ছক্কায় স্ট্রাইক রেট বাড়িয়ে নিয়েছেন দেড় শর ঘরে। তানজিদকে অন্য প্রান্তে তেমন কোনো ঝুঁকি নিতে হয়নি। ৩৯ বল খেলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় অর্ধশত করেন তিনি, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সপ্তম ম্যাচে তানজিদের এটি তৃতীয় অর্ধশত। শেষ পর্যন্ত ৪২ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৫৮ রানে অপরাজিত ছিলেন তানজিদ। জয়সূচক রানটা এসেছে সৌম্যর ব্যাট থেকে, তিনি ৪৩ রান করেছেন ২৮ বলে। ৪টি চার ও ২টি ছক্কা ছিল তাঁর ইনিংসে।

১০ রানে ৬ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা মোস্তাফিজুর রহমান

যুক্তরাষ্ট্র আজ তাদের মূল খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দিয়ে ম্যাচটা খেলতে নেমেছে। দলটির নিয়মিত অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেল, প্রথম ও দ্বিতীয় ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের জয়ের নায়ক হারমিত সিং ও আলী খান আজকের ম্যাচের একাদশে ছিলেন না। দলের মূল অলরাউন্ডার স্টিভেন টেলরও আজ খেলেননি। তাঁদের জায়গায় দলে এসেছেন শায়ান জাহাঙ্গীর, নসতুশ কেঞ্জিগ, মিলিন্দ কুমার ও নিসর্গ প্যাটেল। বিকল্পদের নিয়ে অবশ্য ব্যাটিংয়ে বেশি দূর যেতে পারেনি স্বাগতিকেরা। দুই ওপেনার আন্দ্রিয়াস গুস ও জাহাঙ্গীর প্রথম ৫ ওভারে ৪৬ রান যোগ করার পর মোস্তাফিজের সামনে আর দাঁড়াতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র।

৪ ওভারে মাত্র ১০ রান দিয়ে মোস্তাফিজ নিয়েছেন ৬ উইকেট। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটিই বাংলাদেশের কোনো বোলারের সেরা বোলিং। ২০১২ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ইলিয়াস সানি ১৩ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন। বাংলাদেশিদের মধ্যে সাকিবের পর এই সংস্করণে দ্বিতীয়বার ৫ বা এর বেশি উইকেট পেলেন মোস্তাফিজ। লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনের কথাও আলাদা করতে বলতে হবে, ১ উইকেট নিলেও ৪ ওভারে রান দিয়েছেন মাত্র ৭। স্বাগতিকদের অল্প রানে থামিয়ে বোলাররাই গড়ে দিয়েছেন জয়ের মঞ্চ।