বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটারের পুরস্কার আগেই জিতেছিলেন বেন স্টোকস। এবার ইংল্যান্ডের টেস্ট অধিনায়ক জিতলেন উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটারের খেতাব। এই নিয়ে গত চার বছরে তিনবার উইজডেনের বর্ষেসেরা ক্রিকেটার হয়েছেন স্টোকস। টেস্টে বছরজুড়ে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করেছেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক। সঙ্গে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালেও খেলেছিলেন ৫২ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংস।
ব্যাট-বলে অলরাউন্ড পারফরম্যান্স বেন স্টোকসের জন্য নতুন কিছু নয়। ২০২২ সালেও স্টোকস এই পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন। গত বছর এর পাশাপাশি টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে তাঁর নেতৃত্ব।
কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম আর অধিনায়ক স্টোকসের ইংল্যান্ড দল টেস্ট ক্রিকেটেও আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে শুরু করে। স্টোকসের অধিনায়কত্বে গত বছর ১০ টেস্টের ৯টিতেই জিতেছে ইংল্যান্ড। অথচ স্টোকস অধিনায়কত্ব নেওয়ার আগের ১৭ টেস্টে ইংল্যান্ড জিতেছিল মাত্র ১টিতে।
স্টোকস গত বছর ইংল্যান্ডের খেলা ১৫টি টেস্টেই ছিলেন। এই সময়ে ব্যাট হাতে ৩৬.২৫ গড় ও ৭১.৫৪ স্ট্রাইক রেটে করেছেন বছরের তৃতীয় সর্বোচ্চ ৮৭০ রান। দুটি সেঞ্চুরির সঙ্গে তিনি ৪টি ফিফটিও করেছেন।
বছরজুড়েই বোলিংয়েও উজ্জ্বল ছিলেন স্টোকস। ৩১.১৯ গড়ে নিয়েছেন ২৬ উইকেট। বার্মিংহামে ভারতের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে দলের জয়ে রাখেন বড় অবদান।
এজবাস্টন টেস্টে ভারতের বিপক্ষে জোড়া সেঞ্চুরি করে ইংল্যান্ডকে জেতানো স্টোকসের সতীর্থ জনি বেয়ারস্টো হয়েছেন ‘উইজডেন ট্রফি উইনার’। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে দেওয়া এ পুরস্কারটি এবারই চালু করেছে উইজডেন।
উইজডেনের বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার হয়েছেন সূর্যকুমার যাদব। ২০২২ সালে ৩১টি টি-টোয়েন্টিতে ৪৬.৫৬ গড়ে ১১৬৪ রান করেন সূর্যকুমার। টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে কোনো ব্যাটসম্যানের এক বছরে এটা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। এ ছাড়া উইকেটের চারপাশে সব উদ্ভাবনী শট খেলে বিশেষভাবে দৃষ্টি কাড়েন তিনি। ১৮৭.৪৩ স্ট্রাইক রেটে রান তোলার পথে মারেন ৬৮টি ছক্কা। টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ ছয়ের কীর্তি এটিই।
দ্বিতীয়বারের মতো উইজডেনের বর্ষসেরা নারী ক্রিকেটার অস্ট্রেলিয়ান বেথ মুনি।