টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই ইনজুরির ধাক্কা। প্রথমে পেসার ইবাদত হোসেন, এরপর জ্বরে পড়ে ওপেনার লিটন দাসও ছিটকে পড়লেন এশিয়া কাপ থেকে।
এ অবস্থায় লিটনের বিকল্প কে হতে পারতেন দলে? হতে পারতেন জাকির হাসান। এশিয়া কাপ খেলতে আসা জাতীয় দলের বাইরেও নির্বাচকেরা আরও যে কয়জন ক্রিকেটারকে ঢাকায় অনুশীলনের মধ্যে রেখেছেন, সেখানে তিনিই ছিলেন লিটনের পরিবর্তে ওপেনার হিসেবে দলে আসার মতো। কিন্তু নেওয়া হলো এনামুল হোসেন বিজয়কে, আজ দুপুরেই যিনি ঢাকা থেকে শ্রীলঙ্কার বিমান ধরেছেন।
নির্বাচকদের হিসাবের বাইরে থেকেও লিটনের বিকল্প কেন এনামুল, এই প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক। তবে প্রশ্নটার যে ব্যাখ্যা আজ সাকিব আল হাসান দিলেন, সেটিকে গ্রহণ না করে উপায় নেই। ক্যান্ডির পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে কাল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
তার আগে আজ অনুশীলন শেষে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক দিয়েছেন এনামুলকে দলে নেওয়ার ব্যাখ্যা, ‘আমাদের আরেকজন বাড়তি উইকেটকিপার নেই, এটা একটা ব্যাপার। লিটন টপ অর্ডারে ব্যাটিং করে, বিজয়ও টপ অর্ডারে ব্যাটিং করে। যদি খেলার মধ্যে মুশফিক ভাইয়ের কোনো সমস্যা হয়, কনকাশন বা ছোটখাট চোটে পড়তে পারেন, দেখা গেল সেদিন তিনি কিপিং করতে পারছেন না। যেহেতু নিয়ম আছে দ্বিতীয় উইকেটকিপার ম্যাচে না খেললেও কিপিং করতে পারবে। সে জন্যই বিজয়কে নেওয়া।’
কিন্তু এই যুক্তিতেও সুযোগ পেতে পারতেন জাকির। কারণ তিনিও উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানই। সুযোগ যে পেলেন না তার কারণ, ওপেনিংয়ে ডান হাতি-বাঁ হাতি সমন্বয়।এশিয়া কাপের ১৭ জনের দলে নির্বাচকেরা যে তিন ওপেনারকে রেখেছিলেন তাঁদের মধ্যে একমাত্র লিটনই ছিলেন ডানহাতি। বাকি দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম ও অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা তরুণ ব্যাটসম্যান তানজিদ হাসান দুজনই বাঁহাতি। ওপেনিং জুটিতে ডান হাতি-বাঁহাতি ভারসাম্য রাখতেই লিটনের জায়গায় ডাকা হয়েছে এনামুল হককে।
তবে আজ রাতে ক্যান্ডি পৌঁছে এনামুল হয়তো কালই মাঠে নেমে যাবেন না। সে ক্ষেত্রেও হয়তো দুই বাঁহাতি ওপেনারকে নিয়ে খেলবে না বাংলাদেশ। টপ অর্ডারে কিছু অদল-বদল ঘটারই ইঙ্গিত দিচ্ছে সেটি।