প্রথম দুই ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপটা দারুণভাবে শুরু করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু এরপরই ছন্দপতন হয় দলটির। টানা চার ম্যাচ হেরে বিদায়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায় তারা। এরপর আবারও দুই ম্যাচ জিতে লড়াইয়ে ফিরে আসে বাবর আজমের দল। তবে পরশু শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে পাকিস্তানের বিদায় অনেকটাই নিশ্চিত করে দিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
সেমিফাইনালে যেতে হলে আজ আক্ষরিক অর্থেই অসম্ভবকে সম্ভব করতে হবে পাকিস্তানকে। যেখানে আগে ব্যাট করলে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাদের জিততে হবে ২৮৭ রানে। আর রান তাড়ায় লক্ষ্য ছুঁতে হবে ২.১ ওভারের মধ্যে। যা একরকম অসম্ভবই বলা চলে।
সব মিলিয়ে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের এমন হতাশাজনক পারফরম্যান্স নিয়ে বেশ কথা হচ্ছে। সমালোচনাও হচ্ছে অনেক। এর মধ্যে ভারতের সাবেক উইকেটরক্ষক–ব্যাটসম্যান দিনেশ কার্তিকও কথা বলেছেন পাকিস্তানের ব্যর্থতা নিয়ে। ক্রিকেটভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ক্রিকবাজকে দেওয়া এই সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের ব্যর্থতার জন্য দুজন খেলোয়াড়কে দায়ী করেছেন কার্তিক।
কার্তিক বলেছেন, ‘পাকিস্তানে একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করে, যা সম্ভবত অস্ট্রেলিয়া কিংবা ইংল্যান্ডের মতো নয়। তবে তার মানে এই না যে সেটা খারাপ। সেটা সমস্যা হয়েছে তা হলো তাদের বোলিং ছন্দে ছিল না।’
এ সময় পাকিস্তানের ব্যর্থতার জন্য প্রথমে হারিস রউফের নাম উল্লেখ করেন কার্তিক। বিশ্বকাপে ৮ ম্যাচে ১৩ উইকেট নিলেও ৬.৭৯ ইকোনমিতে দিয়েছেন ৪৬৯ রান। তাঁর নাম উল্লেখ করে কার্তিক বলেছেন, ‘হারিস রউফ ছন্দ না পাওয়া তাদের জন্য বড় ধাক্কা ছিল। মাঝের ওভারগুলোতে উইকেট নেওয়ার জন্য তাকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একজন ভাবা হচ্ছিল। এমনকি ডেথ বোলিংয়েও তার ওপর প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু প্রথম ও দ্বিতীয় স্পেলে সে প্রচুর রান দিয়ে ফেলেছে।’
এরপর দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে কার্তিক বলেছেন শাদাব খানের কথা। তাঁর মতে, ‘এরপর হচ্ছে শাদাব খান। টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের আরেকটি বড় ধাক্কা হচ্ছে শাদাবের ছন্দে না থাকা। সে উইকেট নিতে পারেনি। সে অতীতের ছায়া হয়েই ছিল। আর এ কারণে পাকিস্তানও অনেক সংগ্রাম করেছে।’